ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনমঞ্চের সামনের দৃশ্য। —ফাইল চিত্র।
বুধবার বিকেলে হঠাৎ বৃষ্টি নামে কলকাতায়। মুষলধারে বৃষ্টি চলে। ধর্মতলায় অনশনমঞ্চের ত্রিপল কোথাও কোথাও ফুটো হয়ে গিয়েছে জল পড়তে শুরু করেছিল। সেই জল গড়িয়ে পড়ছিল অনশনকারীদের বিছানায়। বৃষ্টির মধ্যেই ত্রিপল মেরামত করার চেষ্টা চলে।
অনিকেতকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়েও ভাবনাচিন্তা করছেন আরজি করের চিকিৎসকেরা। চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড আগামিকাল সব রিপোর্ট নিয়ে আলোচনায় বসতে পারে বলে জানিয়েছেন আরজি করের অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের চিকিৎসক সৈকত নিয়োগী। ওই আলোচনার পরে অনিকেতকে ছাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অনশন থেকে ওঠার কারণে আপাতত তেল-ঝাল ছাড়া খাবার দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। খাবারের পরিমাণের দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। তাঁর শারীরিক দুর্বলতা রয়েছে এখনও। রক্তচাপও ওঠানামা করছে। সে দিকে লক্ষ্য রাখছেন চিকিৎসকেরা।
১০ দফা দাবি নিয়ে লড়াই জারি জুনিয়র ডাক্তারদের। বুধবার ধর্মতলায় তাঁদের অনশনমঞ্চের দ্বাদশ দিন। শিলিগুড়ির অনশনমঞ্চের একাদশতম দিন। অনশনে থাকতে থাকতে সকলেই কমবেশি দুর্বল হয়ে পড়েছেন। রুমেলিকা কুমার এবং স্পন্দন চৌধুরী মঙ্গলবারই অনশনমঞ্চে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের বাদে বাকি সকলেরই শরীরে মিলেছে কিটোন বডি।