কম গতি ও স্বল্প উচ্চতায় উড়ে বুধবার কাকভোরে পুণে পৌঁছয় ইন্ডিগোর সেই উড়ান। ফাইল ছবি
সমস্যার পরে সমস্যা। কলকাতা থেকে পুণে যাওয়ার পথে মাঝরাতে অসুস্থ এক যাত্রীর জন্য মুখ ঘুরিয়ে রায়পুরে নামতে বাধ্য হয়েছিল একটি উড়ান। মঙ্গলবার রাতে সেই অসুস্থ যাত্রী এবং তাঁর আত্মীয়াকে রায়পুরে নামিয়ে দিয়ে বাকিদের নিয়ে আবার ওড়ার মুখে দেখা দিল অন্য সমস্যা।
যাত্রী-সংখ্যা অনুযায়ী উড়ানে অক্সিজেন সিলিন্ডার রাখাটাই নিয়ম। কিন্তু মাঝ-আকাশে অসুস্থ এক যাত্রীর জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার পরে দেখা যায়, উড়ানে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার নেই। শেষে প্রবল যাত্রী-বিক্ষোভের মুখে বিশেষ অনুমতি নিয়ে কম গতি ও স্বল্প উচ্চতায় উড়ে বুধবার কাকভোরে পুণে পৌঁছয় ইন্ডিগোর সেই উড়ান।
১৭০ জন যাত্রী-সহ উড়ানটি মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ কলকাতা থেকে রওনা দিয়েছিল। অন্যতম যাত্রী, সল্টলেকবাসী স্মিতা চট্টোপাধ্যায় জানান, প্রায় এক ঘণ্টা ওড়ার পরে এক অশীতিপর মরাঠি মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর নাতনি। বৃদ্ধাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। তাঁকে দেখে এক চিকিৎসক-যাত্রীর মনে হয়, মহিলা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁকে বাঁচাতে মুখ ঘুরিয়ে সাড়ে ১০টা নাগাদ রায়পুরে নামে উড়ান।
স্মিতার অভিযোগ, রায়পুরে বলা হয়, যে-অ্যাম্বুল্যান্সে মহিলাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, তাতে অক্সিজেন ছিল না। উড়ানের অক্সিজেন দিয়ে পাঠাতে হয়েছে। তাই পর্যাপ্ত অক্সিজেন না-থাকায় এখন ওড়া যাবে না। বিমান উড়বে বুধবার সকালে। তার উপরে রাতে রায়পুর বিমানবন্দর বন্ধ থাকে। শুরু হয় বিক্ষোভ। যাত্রীরা উড়ানে বসে টুইট করে, সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ জানাতে থাকেন। উড়ানে অসুস্থ হয়ে পড়েন কয়েক জন যাত্রী। এক মহিলা যাত্রীকে হুইলচেয়ারে করে নামিয়ে ডাক্তারের কাছেও পাঠাতে হয়। বাইরের হাওয়া খেতে বিমানের গায়ে সিঁড়ি লাগিয়ে তার পাদানি পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি পান যাত্রীরা।
উড়ান সংস্থা জানায়, বিশেষ অনুমতি নিয়ে তারা রাত ২টোর পরে রওনা হতে পারবে। তবে উড়ানের গতি ও উচ্চতা কম রাখতে হবে। স্মিতা জানান, রায়পুর থেকে পুণে পৌঁছতে দু’ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে।