—ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে মেরুকরণের হাওয়া তীব্রতর করতে বিজেপির ভরসা রথযাত্রা। আর তৃণমূল-বিজেপি মেরুকরণের মাঝে প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখতে বামেদের হাতিয়ার পদযাত্রা। বিজেপির রথ ছুটবে ডিসেম্বরে। বামেরা পথে নামবে পুজোর আগেই, সেপ্টেম্বরে।
সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব স্বীকার করছেন, তৃণমূল আর বিজেপি ছাড়া রাজনৈতিক ময়দানে কেউ নেই— এই ধারণা ভেঙে লড়াই চালানোই তাঁদের সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুর মতে, শুধু মুখ বুজে সব সহ্য করে যাওয়ার দিন শেষ। মাঠে-ময়দানেই পরিস্থিতি পরিবর্তনের লড়াই চালাতে হবে। সেই নীতি মেনেই ১১৭টি গণ-সংগঠনের যৌথ মঞ্চ বিপিএমও-র উদ্যোগে কোচবিহার থেকে কলকাতা পদযাত্রার পরিকল্পনা হচ্ছে। বড় কয়েকটি পদযাত্রার সঙ্গেই উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের নানা প্রান্তে ছোট ছোট মিছিল অন্তর্জালের মতো মিশবে। কৃষক, শ্রমিকের নানা দাবিকে সামনে রেখেই পদযাত্রা হবে। বিপিএমও-র আহ্বায়ক এবং সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্যামল চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘শীঘ্রই কর্মসূচি চূড়ান্ত হবে।’’
সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিমের মন্তব্য, ‘‘যাঁরা রথে থাকেন, বিপদে পড়লেই তাঁরা রথ বদলে নেন। পথে যাঁরা থাকেন, তাঁদের সেই বিপদ থাকে না!’’ পদযাত্রার আগে আগামী ৯ অগস্ট ‘জেল ভরো’ কর্মসূচিতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে চাইছে বামেরা। মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ নিয়েই কৃষক সভার ডাকে দেশ জুড়ে ওই কর্মসূচি হবে।