বাঁকুড়া আদালতে উদয়ন। বুধবার। ছবি: অভিজিৎ সিংহ
বাঁকুড়ার আকাঙ্ক্ষা শর্মাকে (২৮) খুন করে, দেহ লোপাটের দায়ে তাঁর ‘প্রেমিক’ উদয়ন দাসের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল। বুধবার বাঁকুড়ার ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক সুরেশ বিশ্বকর্মা এই সাজা ঘোষণা করেন। জেলার মুখ্য সরকারি আইনজীবী অরুণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “খুনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং দেহ লোপাটের মামলায় দু’বছর কারাদণ্ডের সঙ্গে দু’হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। দু’টি সাজা এক সঙ্গে চলবে।”
২০১৭-র জানুয়ারিতে উদয়নের বিরুদ্ধে তাদের মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ করে আকাঙ্ক্ষার পরিবার। ভোপালের সাকেতনগর থেকে পরের মাসে উদয়নকে ধরা হয়। তার বাড়িতে সিমেন্টের বেদি ভেঙে আকাঙ্ক্ষার দেহাবশেষ মেলে। পুলিশ জানতে পারে, আকাঙ্ক্ষার আগে, ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরে নিজের বাবা-মাকেও খুন করে পুঁতে দিয়েছিল উদয়ন। রায়পুর আদালতে সে মামলার চার্জশিট জমা পড়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
আদালতে এ দিন সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য চলাকালীন বছর ছত্রিশের উদয়ন বলে ওঠে, ‘‘জীবন এক বারই মেলে। তার সদ্ব্যবহার করতে চাই।” রায় ঘোষণার পরে, তার চোখ-মুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। বাইরে সে বলে, ‘‘আমার কোনও আফশোস নেই। হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টে যাব।’’ তার আইনজীবী অভিষেক বিশ্বাসও বলেন, “আরও কম সাজার আর্জি নিয়ে উচ্চ আদালতে যাব।” আকাঙ্ক্ষার বাবা শিবেন্দ্রনাথ শর্মার মন্তব্য “উদয়নের ফাঁসি চেয়েছিলাম। রায়পুর আদালতে ওর কী সাজা হয়, সে দিকে তাকিয়ে আছি।’’