গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
পিনকন অর্থলগ্নি সংস্থার মামলায় আট জনের যাবজ্জীবন সাজা হল। শনিবার ওই সাজা ঘোষণা করেন পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (৩) মৌ চট্টোপাধ্যায়। প্রত্যেকেরই ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে।
প্রথম থেকেই এই মামলায় বৈদ্যুতিন ও সাইবার তথ্যপ্রমাণ বিশেষ ভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। রাজ্যের সাইবার সংক্রান্ত মামলার বিশেষজ্ঞ বিভাস চট্টোপাধ্যায় এই মামলায় বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে নিযুক্ত হন। কী ভাবে দু’টি সার্ভার ব্যবহার করে লগ্নিকারীদের তথ্য সেখানে নথিভুক্ত করা হত, এ দিন আদালতে তা বিচারককে দেখান বিভাসবাবু। সেই সঙ্গে বৈদ্যুতিন তথ্যপ্রমাণ দাখিল করেন। তিনি বলেন, “পিনকন প্রায় এ রাজ্যে প্রায় ৮৬৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। এই তথ্য ছিল অন্য একটি কোম্পানির দু’টি সার্ভারে। ওই কোম্পানির এক কর্মী এই মামলায় সাক্ষী হন। বিচারক মনোরঞ্জন রায়, মৌসুমী রায়-সহ মোট আট জনকে যাবজ্জীবন সাজা দেন। প্রত্যেকেই ৫ লক্ষ টাকার জরিমানা হয়েছে।”
এই মামলার রায় চিটফান্ড-কাণ্ডে নজিরবিহীন বলে মনে করছেন আইনজীবী মহল। মামলার তদন্ত করে রাজ্যের আর্থিক অপরাধ দমন শাখা (ডিরেক্টরেট অব ইকনমিক অফেন্সেস)। অপরাধ প্রমাণে তথ্য-প্রযুক্তির উপর নির্ভর করতে হয় তদন্তকারীদের।
আরও পড়ুন:নিম্নচাপের জের, সোমবার পর্যন্ত বৃষ্টি হবে কিছু জেলায়
২০১৭-র নভেম্বর থেকে এই মামলার শুনানি চলছে। এই মামলায় আমানতকারীদের লগ্নি ফেরত পাওয়ার আবেদনও গৃহীত হয়। ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রোটেকশন অব ইন্টারেস্ট ডিপোজিটর ইন ফিনানশিয়াল এস্ট্যাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট, ২০১৩-এর সেকশন ৩(১)(ই)-তে মামলা চলছিল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের এক অধ্যাপকও মামলায় অংশগ্রহণ করেন।
এ দিন সংস্থার প্রধান কর্ণধার মনোরঞ্জন এবং মৌসুমী রায় ছাড়াও যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে হরি সিংহ, বিনয় সিংহ, দীপঙ্কর বসু, অরূপ ঠাকুর এবং রাজকুমার রায়ের।
আরও পড়ুন:হাথরস কাণ্ডে পথে নেমে ভোটপ্রচারের সুর বাঁধলেন মমতা
বিভাসবাবু জানান, এ দিন প্রধান অভিযুক্ত হাসপাতালে ছিলেন। তিনি আদালতে হাজিরা দেননি। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে তাঁর সাজা ঘোষণার বিষয়টি জানানো হয়।