রবিবার খাঁচাবন্দি চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। —নিজস্ব চিত্র।
সপ্তাহখানেক ধরেই ছ’টি চিতাবাঘের আনাগোনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল ডুয়ার্সের গান্দরাপাড়া চা বাগানের জনবসতি এলাকায়। সেগুলিকে ধরার জন্য ফাঁদও পেতেছিলেন বন দফতরের কর্মীরা। তবে কোনও ভাবে চিতাবাঘগুলিকে ধরা যাচ্ছিল না। অবশেষে শনিবার রাতে একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী চিতাবাঘ ধরা পড়ল বন দফতরের খাঁচায়। রবিবার ভোরে ওই চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছেন বন দফতরে কর্মীরা। তবে বাকি পাঁচটি চিতাবাঘের আতঙ্কে এখনও সিঁটিয়ে রয়েছেন বাগানের বাসিন্দারা।
বন দফতর সূত্রে খবর, কিছু দিন আগে গান্দরাপাড়া চা বাগানে এই চিতাবাঘটিকে ঘোরাফেরা করতে দেখেছিলেন বাগানের কর্মীরা। চিতাবাঘের ঘোরাফেরার ভিডিয়োও ক্যামেরাবন্দি করেন তাঁরা। সে খবর জানাজানি হতেই গোটা বাগান জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। চিতাবাঘটিকে ধরার জন্য বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের কাছে আবেদন জানানো হয়। বন দফতরের কর্মীরা গান্দরাপাড়া চা বাগানের জনবসতি এলাকায় গিয়ে চিতাবাঘ ধরার খাঁচা পাতেন। তাতে একটি ছাগলের টোপ দেওয়া হয়েছিল। শনিবার গভীর রাতে ওই টোপেই ধরা পড়ে চিতাবাঘটি।
চা বাগানের শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, শনিবার রাতে বার বার চিতাবাঘের হুঙ্কার শুনতে পান তাঁরা। খবর পেয়ে বন দফতরের কর্মীরা ওই এলাকায় পৌঁছে দেখেন, খাঁচায় ধরা পড়েছে একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী চিতাবাঘ। চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করে রবিবার ভোরে লাটাগুড়ি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের রেঞ্জার শুভাশিস রায় বলেন, “চা বাগানের ওয়েলফেয়ার অফিসার কিছু দিন আগে এই চিতাবাঘটিকে বাগানের মধ্যে দেখেছিলেন। বাগান কর্তৃপক্ষ আমাদের তা জানিয়েছিলেন। এর পর বাগান এলাকার বাসিন্দাদের সচেতন করার পাশাপাশি সাবধানতা অবলম্বনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। চিতাবাঘটিকে ধরার খাঁচা পাতার জন্য অনুরোধ করেছিলেন বাগান কর্তৃপক্ষ। আমরা ছাগলের টোপ দিয়ে সেখানে একটি খাঁচা পেতেছিলাম, শনিবার রাতে খাঁচাবন্দি হয়েছে স্ত্রী চিতাবাঘটি। সেটিকে উদ্ধারের পর লাটাগুড়ি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর চিতাবাঘটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।”