কলকাতা-সহ রাজ্যের ১০টি জেলায় খোলা হল ‘লিগ্যাল এড ডিফ্যান্স কাউন্সিল’ (এলএডিসি)-এর দফতর। ছবি: প্রতীকী
মামলার জন্য আইনজীবী নিয়োগের ক্ষমতা নেই যাঁদের, এ বার তাঁদের সাহায্যে এগিয়ে এল বিচার বিভাগ। কলকাতা-সহ রাজ্যের ১০টি জেলায় খোলা হল ‘লিগ্যাল এড ডিফ্যান্স কাউন্সিল’ (এলএডিসি)-এর দফতর। বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই ১০টি দফতরের উদ্বোধন করেন।
বুধবার উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর, হুগলি, হাওড়া, জলপাইগুড়ি, কলকাতা, মালদহ, নদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় এই পরিষেবা চালু করা হয়। ভার্চুয়াল মাধ্যমে উদ্বোধন করে বিচারপতি শিবজ্ঞানম বলেন, ‘‘সবার সঠিক বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিচারের ক্ষেত্রে প্রান্তিক মানুষরা অনেক সাহায্য পাবেন। বিশেষ করে ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রে।’’
এ নিয়ে কেন্দ্রের একটি প্রকল্প ইতমধ্যেই ছিল। তার অধীনে কয়েকটি রাজ্যে সেই পরিষেবা চালু হয়েছে। এ বার পশ্চিমবঙ্গেও এই প্রকল্প চালু হল। এমনিতে আর্থিক অসঙ্গতির কারণে আইনজীবী নিয়োগ করার ক্ষমতা যাঁদের নেই, তাঁদের ‘রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি’ বা ‘হাই কোর্ট লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি’ আইনি সাহায্য দেয়। এই দুই সংস্থা আবেদনকারীদের জন্য আইনজীবী নিয়োগ করে দেয়। তবে ‘লিগ্যাল এড ডিফ্যান্স কাউন্সিল’-এর কাজ একটু আলাদা।
অনেক মামলায় দেখা যায়, বিবাদী পক্ষ টাকার অভাবে কোনও আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে অভিযুক্তের হয়ে আইনগত যুক্তি দেওয়ার মতো কেউ থাকেন না। ফলে অনেক সময় স্বাভাবিক নিয়মে বিবাদী পক্ষের বিরুদ্ধে একতরফা ভাবে বিচার হয়ে যায়। আবার অনেক সময় বিবাদী পক্ষ আইনগত ভাবে অন্য সাহায্য পেতে পারতেন, কিন্তু তাঁর আইনজীবী না থাকার কারণে তা হয়নি। অর্থাৎ বলা যায়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ডিফেন্স বা বিবাদী পক্ষ আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে পূর্ণ সময়ের জন্য অফিসার এবং আইনজীবী নিযুক্ত করা হয়। ফলে মামলায় পূর্ণ সময়ের জন্য আইনজীবী পাওয়া যায়। আবার ফৌজদারি অপরাধের প্রথম ধাপ থেকেই আইনি পরিষেবা মেলে। গ্রেফতারের আগে, পরে এবং হেফাজত থেকে বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন আইনজীবী পাওয়া যাবে।