পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম
অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এ বার মন্দির-মসজিদ ঘিরে বিভাজনের রাজনীতি ছেড়ে সাধারণ মানুষের প্রকৃত সমস্যার দিকে নজর দেওয়া হোক। এই দাবি সামনে রেখে আজ, সোমবারই পথে নামছে সিপিএম।
বিভাজনের রাজনীতি বন্ধ করে শান্তি, সম্প্রীতি ও গণতন্ত্র রক্ষা এবং কর্মসংস্থান ও আর্থিক দুর্দশার দিকে নজর দেওয়ার দাবিতে আজ ধর্মতলা থেকে মহাজাতি সদন পর্যন্ত মিছিল হবে কলকাতা জেলা সিপিএমের ডাকে। দলের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম-সহ রাজ্য নেতাদেরও ওই মিছিলে থাকার কথা। কলকাতা জেলা বামফ্রন্টের বৈঠক ডাকা হয়েছে ১৪ নভেম্বর। তার পরে বামফ্রন্টের তরফেও কিছু কর্মসূচি নেওয়া হবে। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা আইনভঙ্গ উল্লেখ করেও সেই ঘটনায় যাদের হাত, তাদেরই অযোধ্যার বিতর্কিত জমির অধিকার দেওয়ার রায়ে দীর্ঘ দিনের বিবাদের ফয়সালা হলেও ‘ন্যায়’ হয়নি বলে রবিবারও মত দিয়েছেন সিপিএম নেতারা। আইনজীবী-নেতা বিকাশ ভট্টাচার্য এ দিন দুর্গাপুরে একটি সভায় বলেছেন, ‘‘ভারতের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার যে মূল তত্ত্ব, এই নির্দেশের জেরে সেটাই খারিজ হতে বসেছে।’’
অযোধ্যা-রায় নিয়ে ভিন্ন সুর বজায় রেখেছে অন্যান্য বাম দলগুলিও। আরএসপি-র কেন্দ্রীয় কমিটি এ দিন বিবৃতি দিয়ে দেশ জুড়ে শান্তিরক্ষার আবেদনের পাশাপাশিই বলেছে, ‘বিতর্কের অবসান ঘটানোর জন্য এই রায় যথেষ্ট কি না, কেবল সময়ই তা বলবে’। পিডিএস বলেছে, সুপ্রিম কোর্টেরই পর্যবেক্ষণের সঙ্গে তাদের রায় সঙ্গতিপূর্ণ নয়। মসজিদ ধ্বংসের ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত শাস্তি দাবি করেছে তারা। ‘অসঙ্গতিপূর্ণ’ রায় সংশোধনের দাবিতে জনমত গঠনের জন্য পিডিএস ২১ নভেম্বর শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করবে।