বামেদের পদযাত্রা। —ফাইল ছবি
লোকসভা ভোটের আগে এ বার রাজ্য জুড়ে আরও ব্যাপক পদযাত্রার কর্মসূচি নিল বামেরা। অন্যান্য বারের চেয়ে কিছু বেশি সময় নিয়ে আরও বেশি পথ পরিক্রমার লক্ষ্য নিয়েছে তারা। পরিকল্পনা হয়েছে আরও বেশি মানুষকেও যুক্ত করার। সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষের মতামত চেয়ে তার থেকেই বাছাই করে এ বারের পদযাত্রা কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অধিকার যাত্রা’।
মোট ১১৭টি গণসংগঠনের যৌথ মঞ্চ বিপিএমও-র উদ্যোগে কৃষক, শ্রমিক, অসংগঠিত কর্মী-সহ নানা অংশের মানুষের দাবিদাওয়া নিয়ে পদযাত্রা শুরু হবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর কোচবিহারে। রাজ্য জুড়ে ২৪ দিনের কর্মসূচি শেষে ৩ অক্টোবর হবে কলকাতায় কেন্দ্রীয় সমাবেশ। কোচবিহারের পদযাত্রা উত্তরবঙ্গ ঘুরে যখন মালদহে শেষ হবে, তার মধ্যেই ফরাক্কা থেকে শুরু হয়ে যাবে আর একটি পদযাত্রা। ফরাক্কা, আসানসোল, দুর্গাপুর, বীরভূম, হলদিয়া থেকে কিছু বড় পদযাত্রা হবে। জেলায় জেলায় হবে স্থানীয় স্তরে আরও নানা পদযাত্রা। দেশের নানা রাজ্যে গণসংগঠনগুলিকে নিয়ে এখন তৈরি হয়েছে ‘জন একতা জন অধিকার মঞ্চ’। বাংলায় বিপিএমও-র সঙ্গে জন অধিকার মঞ্চের নেতৃত্বও পদযাত্রার সূচনায় উপস্থিত থাকবেন। ঠিক হয়েছে, কোচবিহারে হান্নান মোল্লা, আসানসোলে অমরজিৎ কউর, ফরাক্কায় অশোক ঘোষ, বীরভূমে হাফিজ আলম সৈরানি এবং পুরুলিয়ায় শ্যামল চক্রবর্তী পদযাত্রার সূচনা করবেন।
বিপিএমও-র আহ্বায়ক শ্যামলবাবু বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘গত বার আমরা ৩৫ হাজার বুথে পৌঁছতে পেরেছিলাম। এ বার ৭৮ হাজার বুথেই পৌঁছতে চাইছি। আগের বার সাড়ে তিন লক্ষ মানুষ যোগ দিয়েছিলেন, এ বার ৭ লক্ষ মানুষকে সঙ্গে নেওয়ার লক্ষ্য আছে।’’ বহু বুথে পৌঁছতে না পারার জন্য আগে সাংগঠনিক দুর্বলতা মেনে নিয়েছিল বামেরা। এই প্রশ্নে শ্যামলবাবুর বক্তব্য, ‘‘আগের ত্রুটি কাটানোর জন্য সাংগঠনিক স্তরে আমরা চেষ্টা করছি। প্রতিটা জেলাকে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সক্রিয় ভাবে সকলকে বিপিএমও-র কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে হবে।’’