‘লং মার্চ’ শেষে ভিক্টোরিয়া হাউস, অনড় বাম-কংগ্রেস

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের প্রতিবাদ-সহ একগুচ্ছ দাবিকে সামনে রেখে আগামী ৩০ নভেম্বর চিত্তরঞ্জন থেকে শুরু হবে ‘লং মার্চ’। শ্রমিক ফ্রন্টের পাশাপাশিই বাম ও কংগ্রেসের সব শাখা ও গণ-সংগঠনও ১২ দিনে ২৮৩ কিলোমিটার পদযাত্রায় পা মেলাবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৪৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

পুলিশ সম্মতি দিতে নারাজ। কিন্তু চিত্তরঞ্জন থেকে কলকাতা পর্যন্ত ‘লং মার্চ’-এর শেষে আগামী ১১ ডিসেম্বর ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনেই সভা করতে মরিয়া বাম ও কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনগুলি। পুলিশ অনুমতি না দিলে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও ভাবছে তারা।

Advertisement

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের প্রতিবাদ-সহ একগুচ্ছ দাবিকে সামনে রেখে আগামী ৩০ নভেম্বর চিত্তরঞ্জন থেকে শুরু হবে ‘লং মার্চ’। শ্রমিক ফ্রন্টের পাশাপাশিই বাম ও কংগ্রেসের সব শাখা ও গণ-সংগঠনও ১২ দিনে ২৮৩ কিলোমিটার পদযাত্রায় পা মেলাবে। ওই অভিযানের সমর্থনে সোমবারই মৌলালি মোড়ে বাম যুব সংগঠনগুলির ডাকা গণ-কনভেনশনে উপস্থিত ছিল যুব কংগ্রেস। ‘লং মার্চ’ শেষে ১১ ডিসেম্বর ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করার কথা জানিয়ে লালবাজারকে চিঠি দিয়েছেন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। কিন্তু কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার-১ জাভেদ শামিম জানিয়েছেন, ওই জায়গায় কোনও দলকেই সভার অনুমতি দেওয়া হয় না। তৃণমূলের ২১ জুলাই ব্যতিক্রম।

বাম নেতারা বিজেপির অমিত শাহের ওই জায়গায় সভার প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। শামিমের ব্যাখ্যা, সেই সভা হয়েছিল আদালতের নির্দেশে। শ্রমিক সংগঠনগুলি শহরের অন্য যে কোনও জায়গায় সভা করতে পারে বলেও পুলিশ-কর্তা জানিয়েছেন। সিটুর রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু, আইএনটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি কামারুদ্দিন কামার-সহ শ্রমিক নেতারা এ দিন বলেন, ‘‘লং মার্চ শেষে বিপুল সংখ্যক মানুষকে নিয়ে আমরা ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনেই সভা করব। মানুষের রুটি-রুজির দাবিতেই আমাদের কর্মসূচি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement