ভাঙড় নিয়ে এ বার রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিল বামেরা। পুলিশি অত্যাচার বন্ধ, ইউএপিএ প্রত্যাহার-সহ নানা দাবিতে ভাঙড়ের মাছিভাঙা গ্রামে শুক্রবার বিকালে প্রতীকী অনশনে বসেছেন জনাপঞ্চাশেক গ্রামবাসী। তাঁদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়েই রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে ১৭টি বাম দলের ধর্না-অবস্থান থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে তৈরি থাকার ‘নোটিস’ দিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
বাম নেতাদের অভিযোগ, পাওয়ার গ্রিডের নামে ভাঙড়ে জমি লুঠ হয়েছে। পুলিশের গুলিতে দু’টি তাজা প্রাণ গেলেও মুখ্যমন্ত্রী গুলিচালনার কথা স্বীকার করেননি। তৃণমূলের ‘তাজা নেতা’র নেতৃত্বে সশস্ত্র বাহিনী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এবং গ্রামবাসীরা বাইরে বেরোলে হয় তাদের শাসক দলের বাহিনী হয়রান করছে অথবা পুলিশ মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁদের অভিযোগ। এই প্রেক্ষিতেই সূর্যবাবু এ দিন বলেন, ‘‘ভাঙড় নিয়ে এখন আর বলা যথেষ্ট নয়, করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীকে বলছি, আপনার যা করার আছে, করে নিন! তার পরে আমরা করব!’’ প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে ৪ জুলাই ‘অকুপাই কলেজ স্ট্রিট’ কর্মসূচি নিয়েছে ১৭টি বাম দল। সূর্যবাবু জানিয়ে দিয়েছেন, সে দিন তাঁরা কলেজ স্ট্রিটে ঢুকবেনই। প্রশাসন যা করার, করে নিক।
ভাঙড়ের সঙ্গে রাজ্যের নানা অংশের মানুষের আন্দোলনকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে এক সুতোয় জুড়তে চায় বামেরা। সূর্যবাবু বলেছেন, ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিডের আন্দোলন দিয়ে বছরটা শুরু হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর ‘পাওয়ার’ দেখাতে গিয়ে ৬ মাসের মধ্যে পাহাড়ে আগুন জ্বলেছে। সূর্যবাবুর হুঁশিয়ারি, ‘‘দরকারে হাজারটা ভাঙড় হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীকে নোটিস দিয়ে গেলাম, তৈরি থাকুন! আমরাও তৈরি হচ্ছি!’’