বিভিন্ন বাম ও কৃষক সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল। নিজস্ব চিত্র।
কেন্দ্রীয় কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষক ও ক্ষেতমজুর সংগঠনগুলির ডাকা আগামী ৮ ডিসেম্বরের ভারত বন্ধকে সমর্থনের কথা জানাল এ রাজ্যের বামফ্রন্ট ও সহযোগী ১৬ দল। প্রদেশ কংগ্রেসও ইতিমধ্যে একই ঘোষণা করেছে। কৃষকদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে শহরে প্রতিবাদ কর্মসূচিও অব্যাহত।
কৃষক সংগঠনগুলির ভারত বন্ধের ডাকে শামিল হওয়ার জন্য দেশের সব রাজনৈতিক দল ও শক্তির কাছে শনিবার আবেদন জানিয়েছেন সিপিএম, সিপিআই, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক এবং সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদকেরা। তার পরেই ১৬টি বামপন্থী ও সহযোগী দলের তরফে বিমান বসু বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘‘আমাদের রাজ্যে ৮ ডিসেম্বর হরতাল-ধর্মঘটকে সফল করতে বামপন্থী ও সহযোগী দলসমূহ জেলায় জেলায় জরুরি ভিত্তিতে প্রস্তুতি নিতে আহ্বান করছে। বাংলার জনগণের কাছে দেশের অন্নদাতাদের আন্দোলন সংগ্রামকে সাফল্যমণ্ডিত করতে আবেদন করা হচ্ছে।’’ একই আবেদন জানিয়ে রেখেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। শ্রমিক, যুব, মহিলা, শিক্ষক-সহ সব ধরনের মানুষের কাছে সমর্থনের আবেদন জানানো হয়েছে ধর্মঘটের অন্যতম উদ্যোক্তা কৃষক সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির রাজ্য শাখার তরফেও।
কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এবং কৃষকদের আন্দোলনকে বিজেপি-আরএসএস ‘বদনাম’ করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করে এ দিনই কৃষক সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি ও অন্যান্য গণ-সংগঠনের ডাকে শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল হয়েছে। মিছিলে ছিলেন অভীক সাহা, প্রসেনজিৎ বসু প্রমুখ। মোদী সরকারের কুশপুতুল পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়।
কৃষক-বিরোধী ‘কালা কানুন’ প্রত্যাহারের দাবিতে ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গড়িয়াহাট ট্রায়াঙ্গুলার পার্ক এলাকায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রদেশ কংগ্রেসের নেতা রোহন মিত্র, তুলসী মুখোপাধ্যায়েরা। বালিগঞ্জ এলাকা থেকে দক্ষিণ কলকাতার কংগ্রেস কর্মীদের মিছিল পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্টের দিকে যাওয়ার পথে কোয়েস্ট মলের সামনে আটকে দেয় পুলিশ। ব্যারিকেড ভাঙার পরে সেখানেই অবস্থান করে প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়ান কংগ্রেস কর্মীরা।