প্রার্থী ঘোষণা করা হোক একসঙ্গে, প্রস্তাব বামফ্রন্টে

যে তিনটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে, তার মধ্যে কালিয়াগঞ্জ এবং খড়্গপুর সদর কংগ্রেসকে ছেড়ে দিয়ে করিমপুরে বামেরা লড়বে— এই সূত্রেই কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলে সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে বামফ্রন্ট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৯ ০২:২১
Share:

ফাইল চিত্র।

লোকসভা ভোটে জোট ভেস্তে যাওয়ার আগে বাম ও কংগ্রেস আলাদা আলাদা ভাবে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। তিন বছর আগে বিধানসভা ভোটে আসন সমঝোতা হলেও দু’পক্ষের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হয়েছিল পৃথক ভাবে। এ বার রাজ্যের তিনটি কেন্দ্রে উপনির্বাচনের জন্য যৌথ ভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে জোটের বার্তা দেওয়ার প্রস্তাব উঠে এল বামফ্রন্টের বৈঠকে।

Advertisement

যে তিনটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে, তার মধ্যে কালিয়াগঞ্জ এবং খড়্গপুর সদর কংগ্রেসকে ছেড়ে দিয়ে করিমপুরে বামেরা লড়বে— এই সূত্রেই কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলে সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে বামফ্রন্ট। এই তিনটি আসনের মধ্যে শুধু করিমপুর তৃণমূলের দখলে ছিল। বাকি দু’টি কোনও দিনই তৃণমূলের ছিল না। খড়্গপুর সদরে দীর্ঘদিন কংগ্রেসের জ্ঞান সিংহ সোহনপাল জিতেছেন। ২০১৬-র বিধানসভা ভোটে জ্ঞানসিংহকে হারিয়ে জেতেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই ভোটেও কংগ্রেস ও বামেদের জোট হয়েছিল। আর কালিয়াগঞ্জ বরাবরই কংগ্রেসের গড়। ফলে করিমপুর ছাড়া বাকি দু’টি আসনে এ বার তৃণমূল জিতলে সেটা হবে তাদের লাভ। না হলেও তৃণমূলের আসন-সমীকরণ বদলাবে না বলে তৃণমূল নেতৃত্বের ব্যাখ্যা।

আনুষ্ঠানিক ভাবে নাম ঘোষণার আগে মঙ্গলবার আর একবার বামফ্রন্টের বৈঠক ডাকা হয়েছে। দু’পক্ষের দ্রুত পথে নামার প্রস্তাব দিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুকে যে চিঠি দিয়েছেন, তার জবাবও বামফ্রন্টে আলোচনা করে দেওয়া হবে।

Advertisement

কংগ্রেসের প্রস্তাব, দু’পক্ষ মিলে একটি যৌথ মঞ্চ তৈরি করে কিছু কর্মসূচি নেওয়া হোক। বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকও একই প্রস্তাব দিয়েছে বিমানবাবুকে। বামফ্রন্ট সূত্রের খবর, শনিবার আলিমুদ্দিনে বামফ্রন্টের বৈঠকে যৌথমঞ্চ গড়ার বিষয়টি নিয়ে কথা হয়। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বৈঠকে বলেছেন, মঞ্চ গড়াই যেতে পারে। তাতে অভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে রাস্তায় নামতে সুবিধা হবে। তবে বিমানবাবু বিষয়টি নিয়ে আর একটু ভেবেচিন্তে পা ফেলার পক্ষপাতী। তাই এ দিনের বৈঠকে মঞ্চের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

সিপিআই-এর রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিনের বৈঠকে প্রস্তাব দেন, তৃণমূল এবং বিজেপিকে রুখতে বাম ও কংগ্রেসের একসঙ্গে লড়াই যেমন দরকার, তেমনই মানুষের কাছে জোটের বার্তা স্পষ্ট করার জন্য যৌথ ভাবে প্রার্থীদের নামও ঘোষণা করা উচিত। এই প্রস্তাব সমর্থন করে অন্য বাম শরিকেরা। ঠিক হয়েছে, কোন আসনে কে প্রার্থী হবেন, তা নিজেদের দলে ঠিক করে নিয়ে তার পরে আলোচনায় বসা হবে।

প্রদেশ কংগ্রেসের একাংশ আবার প্রস্তাব ভাসিয়েছে, বিজেপিকে রুখতে খড়্গপুর সদর আসনটি তৃণমূলকে ছেড়ে দেওয়া হোক। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেসের বড় অংশের যুক্তি, বামফ্রন্টের সঙ্গে সমঝোতাও করব আবার তৃণমূলকে আসন ছাড়ব— এই দু’টো একসঙ্গে সম্ভব নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement