CPIM

পুলিশি বয়ানের পাল্টা বামেদের ‘জ়মীর’ ডাক

দু’শোর বেশি বাম যুব ও ছাত্রদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৫:৩০
Share:

প্রতীকী ছবি।

এক দিকে ‘বয়ান’। অন্য দিকে ‘বিবেক’। নবান্ন অভিযানকে ঘিরে পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বামপন্থী ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলি।

Advertisement

১১ ফেব্রুয়ারি নবান্ন অভিযানের কর্মসূচি নিয়েছিল ১০টি বামপন্থী ছাত্র ও যুব সংগঠন। সঙ্গে ছিল যুব কংগ্রেস ও ছাত্র পরিষদ। সেই কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত যুব কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যু হয় চার দিন পরে। ঘটনার পুলিশি তদন্ত শুরু হতেই নতুন সংঘাত।

মইদুলের মৃত্যু-রহস্যের কিনারায় বিশেষ তদন্তকারী দল গড়েছে লালবাজার। দু’শোর বেশি বাম যুব ও ছাত্রদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। সেই সূত্রেই জানবাজার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত এস এন ব্যানার্জি রোডের দু’ধারের অজস্র দোকানের লোকজনকে নিউ মার্কেট থানা নির্দিষ্ট বয়ান শেখাচ্ছে বলে বাম যুব নেতৃত্বের অভিযোগ। স্থানীয়দের একাংশেরও দাবি, সেই বয়ানে বলা হচ্ছে, নবান্ন অভিযানের দিন বাম আন্দোলনকারীরাই ব্যাগে ইট-পাথর এনেছিলেন এবং অশান্তি বাধিয়েছিলেন। পুলিশ পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেছিল। পুলিশের এই অভিযানের পাল্টা হিসেবে শুক্রবার থেকে নিউ মার্কেট এলাকার দোকানে দোকানে প্রচারপত্র বিলি শুরু করেছে ডিওয়াইএফআই। হিন্দি ও উর্দুতে লেখা সেই আবেদনে ডাক দেওয়া হয়েছে, ‘পুলিশ কি নহি, আপনি জ়মীর (বিবেক) কি শুনিয়ে’। ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্রের কথায়, ‘‘স্থানীয় মানুষ, দোকানদারেরা সবই দেখেছেন। তাঁদের মুখ বন্ধ করে তদন্তের মোড় ঘোরানোর জন্য বয়ান শেখাচ্ছে পুলিশ। আমরা মানুষের কাছে পাল্টা আবেদন করছি, কাজ চাইতে গিয়ে একটা ছেলে নির্মম আক্রমণে প্রাণ দিয়েছে। শেখানো কথা নয়, আপনারা নিজেদের বিবেকের কথা শুনুন।’’ পুলিশ সূত্রে অবশ্য বলা হচ্ছে, পুলিশ তার পদ্ধতি মেনেই তদন্ত করছে। তদন্ত সম্পূর্ণ হলে সত্য উদ্‌ঘাটিত হবে।

Advertisement

নবান্ন অভিযানে এসে নিখোঁজ দীপক পাঁজার সন্ধান পেতে এ দিনই কলকাতা হাইকোর্টে ‘হেবিয়াস কর্পাস’ আবেদন দায়ের করেছে বাম যুব সংগঠনগুলি। শুনানি সোমবার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement