রেড রোড এ বামনেতাদের অবস্থান(বাঁ দিকে)। বিধান ভবন চত্বরে কংগ্রেস নেতাদের অবস্থানে সোমেন মিত্র ও প্রদীপ ভট্টাচার্য(ডান দিকে)।—নিজসেব চিত্র।
সামাজিক মাধ্যমে ঝড় তোলার পাশাপাশিই লকডাউন ও ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত একগুচ্ছ দাবি নিয়ে পথে নামল বাম ও কংগ্রেস। ঘূর্ণিঝড় ‘আমপান’-এর জেরে বাংলায় যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করে অবিলম্বে আরও কেন্দ্রীয় সাহায্য এবং ত্রাণ ও পুনর্গঠনের দাবিতে প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায় দাঁড়ালেন প্রদেশ কংগ্রেস এবং সিপিএম-সহ বাম দলগুলির রাজ্য নেতৃত্ব। একই সঙ্গে প্রচার চালানো হল সামাজিক মাধ্যমেও। মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানানোর এই কর্মসূচি হলেও বিরোধীদের কিছু দাবি ছিল রাজ্যের কাছেও।
সনিয়া গাঁধীর নির্দেশমাফিক বৃহস্পতিবার সারা দেশের কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামে ‘স্পিক আপ ইন্ডিয়া’ শীর্ষক লাইভ কর্মসূচিতে শামিল হয়েছিলেন। একই রকমের দাবির প্রেক্ষিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র কথা বলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুর সঙ্গে। আলোচনায় ঠিক হয়, লকডাউনের মধ্যে বেশি ভিড় এড়াতে কংগ্রেস ও বাম নেতারা আলাদা করে রাস্তায় নামবেন। সেই মতো এ দিন সোমেনবাবু, প্রদীপ ভট্টাচার্যেরা এন্টালিতে বিধান ভবনের সামনে প্ল্যাকার্ড-পোস্টার নিয়ে বেরোন আর বিমানবাবু, সূর্যকান্ত মিশ্রেরা যান রেড রোডে অম্বেডকর মূর্তির কাছে। ‘জাতীয় বিপর্যয়’ ঘোষণা ছাড়াও লকডাউনে বিপর্যস্ত মানুষের জন্য এককালীন ১০ হাজার টাকা নগদ সাহায্য, পরিযায়ী শ্রমিকদের এখন ২০০ দিনের প্রকল্পে কাজ দেওয়া বা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি মদতে অর্থ সাহায্য-সহ একাধিক দাবি এবং শ্রমিকদের কাজের সময় ৮ ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে ১২ ঘণ্টা করতে চাওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিমানবাবু, সোমেনবাবুরা।
রাস্তায় নামার পাশাপাশিই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে চিঠি দিয়ে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী এ দিন আর্জি জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি দেখতে কেন্দ্রীয় দল এলে তাদের সঙ্গে পরিষদীয় দল দেখা করতে চায়। বাম বিধায়কেরা এলাকাভিত্তিক বিপর্যয়ের বয়ান কেন্দ্রীয় দলকে জানাতে চান বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে লিখেছেন সুজনবাবু।