বাকি ৩৬টি আসনের ভাগাভাগি কী ভাবে হবে, তা নিয়ে এ বার দলের অন্দরে অঙ্ক কষতে বসেছে সিপিএম ও কংগ্রেস।—ফাইল চিত্র।
দু’দলের হাতে থাকা ৬টি আসন নিয়ে নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছে। বাকি ৩৬টি আসনের ভাগাভাগি কী ভাবে হবে, তা নিয়ে এ বার দলের অন্দরে অঙ্ক কষতে বসেছে সিপিএম ও কংগ্রেস। সমঝোতার বরফ গলতে শুরু করায় নতুন করে ভাবতে হচ্ছে বাম শরিকদেরও!
প্রাথমিক ভাবে এআইসিসি-র তরফে ২৫-১৭ আসনের রফাসূত্র দেওয়া হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসকে। যার অর্থ, গত বারের জেতা চারটি ছাড়াও আরও ১৩টি আসন বামেদের কাছে দাবি করতে পারে কংগ্রেস। কিন্তু কোন ১৭টি আসনে তারা লড়তে চায়, প্রদেশ কংগ্রেস এখনও তেমন কোনও তালিকা চূড়ান্ত করতে পারেনি। দলের একাধিক নেতা নানা আসনের জন্য সওয়াল করছেন। আবার সিপিএম মনে করছে, কংগ্রেসের জেতা চারটি আসনের অতিরিক্ত ১৩টি আসন তাদের ছেড়ে দেওয়া কঠিন। কারণ, শরিকদের ভাগও তাদের দেখতে হবে। আসনের সংখ্যা নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে তাই দর কষাকষিতে যাচ্ছেন রাজ্য সিপিএম নেতারা।
দু’দলের রাজ্য নেতৃত্বের মধ্যে রবিবার ফোনে প্রাথমিক কিছু কথা হয়েছে। ভোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় হাতে আর বেশি সময়ও নেই। বামফ্রন্ট ঠিক করেছে, বুধবার তারা বৈঠক করে অন্তত প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে। মাঝের দু’দিনের মধ্যেই আলোচনায় বসে রফায় পৌঁছনোর চেষ্টা চালাবেন সিপিএম ও কংগ্রেস নেতারা। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের বক্তব্য, ‘‘কে কত আসন লড়বে, তার সংখ্যা কিছু কম-বেশি হতে পারে। তবে আলোচনার পথ এখন অনেক পরিষ্কার।’’
বাম শরিকদের মধ্যে ফরওয়ার্ড ব্লক কোনও ভাবেই কংগ্রেসের সঙ্গে বোঝাপড়ায় যেতে নারাজ। সিপিএমের তরফে বিমান বসু, রবীন দেবেরা ফ ব নেতৃত্বকে অনুরোধ করেছেন পুরুলিয়া আসনটি ছেড়ে দেওয়ার কথা বিবেচনা করতে। ওই আসনটি কংগ্রেস দাবি করছে। দলের সম্মেলন ও রাজ্য কমিটিতে নেওয়া সিদ্ধান্তের অন্যথা করতে সমস্যায় পড়েছেন ফ ব নেতৃত্ব। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আজ, সোমবার ফ ব-র রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক বসছে। সিপিআইয়ের মেদিনীপুর ও বসিরহাটের মধ্যে কোনও আসন দাবি করতে পারে কংগ্রেস। আরএসপি আগেই বহরমপুর ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে। কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলে আবার শরিকদের নিয়ে বসবেন বিমানবাবুরা।