বিধানসভায় বাম, কংগ্রেস একসুরই

বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীকে পাশে নিয়ে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এ দিন বলেন, সর্বদল বৈঠক একটি রীতি মাত্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৭ ১০:৩০
Share:

রাজ্যসভায় সদ্য কংগ্রেস এবং বামেরা আলাদা প্রার্থী দিয়েছিল। কংগ্রেসের প্রার্থীকে বাড়তি ভোট দিয়ে জেতানোর ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। শেষ পর্যন্ত বাম প্রার্থী বিকাশ ভট্টাচার্যের মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাওয়ায় আর ভোটের দরকার হয়নি। কিন্তু রাজ্যসভার নির্বাচনকে ঘিরে যা-ই হয়ে থাক, রাজ্য রাজনীতিতে তাদের সমীকরণে যে বদল ঘটেনি, বিধানসভায় ফের তা বুঝিয়ে দিল কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট। বিধানসভার আসন্ন অধিবেশন উপলক্ষে স্পিকারের ডাকা সর্বদল বৈঠক বুধবার একযোগেই বয়কট করল দুই বিরোধী দল। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি তথা বিধায়ক দিলীপ ঘোষ দেরিতে এসে পৌঁছনোয় শেষমেশ সর্বদল বৈঠক পরিণত হল একদলীয় বৈঠকে! কংগ্রেস এবং বামেরা এক সুরে আসন্ন অধিবেশনে পাহাড়, জঙ্গলমহল, ভাঙড় ও বন্যা নিয়ে আলোচনার দাবিও তুলেছে।

Advertisement

বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীকে পাশে নিয়ে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এ দিন বলেন, সর্বদল বৈঠক একটি রীতি মাত্র। সরকার পক্ষ তাদের সুবিধামতো কিছু রীতি মানে, ইচ্ছা হলে মানে না! মান্নান-সুজনের প্রশ্ন, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)-সহ বিধানসভার বিভিন্ন কমিটির জন্য বিরোধীদের তরফে বিধায়কদের নাম পাঠানো হয়েছিল। অথচ সুপারিশ না মেনে সব কমিটির মেয়াদ এক বছর করে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা কি গণতান্ত্রিক রীতির নজির?

কাঁথি থেকে দেরিতে এসে পৌঁছনোয় দিলীপবাবুও সর্বদল বৈঠকে ছিলেন না। তবে তার পরেই স্পিকারের ঘরে কার্য উপদেষ্টা (বিএ) কমিটির বৈঠকে ছিলেন কংগ্রেসের মনোজ চক্রবর্তী, অসিত মিত্র, বামেদের সুজনবাবু, আনিসুর রহমান এবং বিজেপি-র দিলীপবাবু। বাকি দুই বিরোধীর অবস্থান সম্পর্কে দিলীপবাবুর মন্তব্য, ‘‘বিরোধীদের কথা তো বিএ কমিটিতেও মানা হয় না! তা হলে ওখানে ওঁরা যান কেন? এগুলো আসলে ‘মক ফাইট’!’’

Advertisement

অধিবেশন শুরু হবে কাল, শুক্রবার। জিএসটি-র অধ্যাদেশকে বিলে পরিণত করা হবে সোমবার। বিরোধীদের দাবি, বন্যা-সহ রাজ্যের জ্বলন্ত কিছু সমস্যা নিয়ে বেসরকারি প্রস্তাবের জন্য সময় রাখতে হবে। আর পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে ‘কন্যাশ্রী’র জন্য বিশ্বসভার স্বীকৃতি পেয়েছেন, সেই বিশ্বজয়কে অভিনন্দন জানাতে তাঁরা বিধানসভায় প্রস্তাব আনতে চান। পার্থবাবুর কথায়, ‘‘বিরোধীদেরও অনুরোধ করব সমর্থন করতে।’’ যদিও বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, ওই প্রকল্প শুরু হয়েছিল ইউপিএ আমলে। বিভিন্ন রাজ্য নাম বদলে প্রকল্প চালাচ্ছে। ইউপিএ-কে স্বীকৃতি না দেওয়া হলে তাঁরা সমর্থন জানাতে অপারগ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement