প্রতীকী ছবি।
সার্বিক জোটের লক্ষ্যে কলকাতা পুরসভা এলাকায় আরও কয়েক কদম এগোল বাম ও কংগ্রেস। উত্তর ও মধ্য কলকাতা এবং বড়বাজার এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে ওয়ার্ড ভাগাভাগির রফা প্রায় চূড়ান্ত। দক্ষিণ কলকাতা এবং দক্ষিণ-পূর্ব শহরতলির কিছু ওয়ার্ড নিয়ে এখনও টানাপড়েন রয়েছে। সেই সমস্যা মিটিয়ে দ্রুত আসন-রফার নিষ্পত্তি করে ফেলতে চায় জোট শিবির।
এখনও পর্যন্ত বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্বের আলোচনা যত দূর এগিয়েছে, তদনুযায়ী ৩০টি ওয়ার্ডে কংগ্রেসের লড়ার সিদ্ধান্ত প্রায় পাকা। এর পরে কংগ্রেসের যা দাবি রয়েছে, তার নিষ্পত্তি হলে আরও গোটাদশেক ওয়ার্ড তারা পেতে পারে। কংগ্রেসকে ছেড়ে দেওয়ার পরে বামফ্রন্টের হাতে যে সব ওয়ার্ড থাকবে, তার মধ্যে থেকে কিছু আসন আবার দেওয়া হবে আরজেডি, এনসিপি, সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনের মতো দলকে। কলকাতা জেলা নেতৃত্বের আলোচনার প্রক্রিয়ার মাঝেই আজ, বুধবার মুখোমুখি বৈঠকে বসছেন প্রদেশ কংগ্রেস ও বামেদের রাজ্য নেতৃত্ব। পুরভোটের পাশাপাশি রাজ্যসভার আসন্ন নির্বাচন নিয়েও সেখানে কথা হতে পারে।
কলকাতা জেলা সিপিএমের দফতর প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফার বৈঠকে বসেছিলেন বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব। দীর্ঘ আলোচনায় ঠিক হয়েছে, তিন বাম শরিক দল ফরওয়ার্ড ব্লক, আরএসপি এবং সিপিআই তাদের ভাগের ওয়ার্ড থেকে তিনটি করে আসন ছেড়ে দেবে। কংগ্রেসের জন্য বাকি আসন ছাড়বে সিপিএম। বাম ও কংগ্রেস সূত্রের খবর, আসনসংখ্যা বিশেষ কোনও জট নেই দু’পক্ষের মধ্যে কোন আসন কংগ্রেসকে ছাড়া হবে আর কোনটা রাখবে বামেরা, এই প্রশ্নেই পরস্পর-বিরোধী কিছু দাবি আছে। আবার কিছু এলাকায় কংগ্রেসকে যত ওয়ার্ড বামেরা দিতে চাইছে, ততগুলি আসন সাংগঠনিক কারণে লড়তে আগ্রহ দেখাচ্ছে না কংগ্রেস। যেখানে তাদের আগ্রহ, সেখানে আবার বামেদেরও নজর! গত বার যেখানে এক পক্ষ অন্য পক্ষের চেয়ে অনেকটা বেশি ভোট পেয়েছিল, জোটের স্বার্থেও সেখানে ওয়ার্ড হাত বদল করা মুশকিল— এই যুক্তিই সামনে চলে আসছে।
তবে কলকাতা জেলা ফ্রন্টের এক নেতার কথায়, ‘‘আলোচনা অনেকটা এগিয়েছে। আমরা চাইছি, ১৪ মার্চের মধ্যে আসন ভাগাভাগির প্রাথমিক কাজ শেষ করে ফেলতে।’’ দু’পক্ষের তরফে যৌথ ভাবে জনতার উদ্দেশে ‘আবেদন’ও করা হবে বলে কথা হয়েছে। যৌথ আবেদনের পাশাপাশিই পৃথক ইস্তাহার হতে পারে।