Laxmi Ratan Shukla

মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল, কী কারণে ইস্তফা, বাড়ছে জল্পনা

হাওড়া জেলা তৃণমূলের সভাপতির পদও ছাড়লেন লক্ষ্মী। অরূপ রায়ের প্রতিক্রিয়া, যুদ্ধের আগে সেনাপতির সরে যাওয়ার মতো।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২১ ১৪:৪১
Share:

ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল।

এ বার মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল। রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। আপাতত রাজনীতি থেকে অবসর নিচ্ছেন বলে এই সিদ্ধান্ত, জানিয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার। তবে বিধায়ক পদে পূর্ণ মেয়াদেই থাকতে চান লক্ষ্মী। এ নিয়ে হাওড়া জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অরূপ রায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘যুদ্ধের আগে সেনাপতির সরে দাঁড়ানো’। লক্ষ্মী দলে এলে স্বাগত, বলেছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তবে লক্ষ্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। অন্য দিকে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মন্ত্রিত্ব থেকে লক্ষ্মীর ইস্তফাপত্র রাজভবনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

মন্ত্রিত্বের পাশাপাশি হাওড়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন লক্ষ্মী। তবে উত্তর হাওড়ার বিধায়ক পদ থেকে এখনই পদত্যাগ করছেন না বলেই মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন তিনি। বিধানসভার সম্পূর্ণ মেয়াদ তিনি সম্পূর্ণ করতে চান বলেও ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন।

হাওড়া জেলা তৃণমূলে অভ্যন্তরীণ কোন্দল কারও অজানা নয়। দীর্ঘদিন ধরেই বেসুরো রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তার উপর সম্প্রতি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘‘সভাপতি হওয়ার পর লক্ষ্মীর কোনও মুভমেন্ট ছিল না। দলটা কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে। কোনও কমিটি গঠন করেননি নতুন সভাপতি।’’ যদিও প্রসূন জানিয়েছিলেন, রাজীব, অরূপ এবং লক্ষ্মী নিজেরা বসে সমস্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে পারেন। তাঁকে ডাকা হলে তিনিও সেই বৈঠকে হাজির থাকতে পারেন প্রসূন।

Advertisement

ঘটনাচক্রে তার ৪ দিনের মধ্যেই মন্ত্রিত্ব এবং জেলা সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন লক্ষ্মী। যদিও তৃণমূল নেতা সৌগত রায় দাবি করেছেন, ‘‘লক্ষ্মী কোনও দিনই কিছু বলেননি। দলের মধ্যে কোনও সমস্যা হচ্ছিল কি না, সে বিষয়েও কিছু জানাননি। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে কী সমস্যা হচ্ছিল।’’ যদিও লক্ষ্মীর সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করা যায়নি।

অন্য দিকে হাওড়া জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অরূপ রায় লক্ষ্মীর পদত্যাগের খবর সম্পর্কে কিছু জানেনই না। তাঁর কথায়, ‘‘লক্ষ্মীর পদত্যাগের কোনও খবর জানি না। ওঁর সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছোট ভাইয়ের মতো। নির্বাচনের আগে এ ভাবে জেলা সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া মানে যুদ্ধের সময় সেনাপতির সরে যাওয়া। আমার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কে কোনও চিড় ধরেনি। এ বিষয়ে কোনও আলোচনাও হয়নি। কী কারণে ইস্তফা দিয়েছেন, তা উনিই বলতে পারবেন।’’

লক্ষ্মীর ইস্তফার পরেই তিনি বিজেপি-তে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন, সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। বিধায়ক পদেও ইস্তফা দিয়েছেন কি না, জানা যায়নি। তবে লক্ষ্মী বিজেপিতে এলে তাঁকে স্বাগত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement