ভারত নির্মাণ পার্টির জেলা সম্মেলন। —নিজস্ব চিত্র।
ফের দলের জেলা সম্মেলনে সিপিএমকে বিঁধলেন লক্ষ্মণ শেঠ। আর প্রশংসা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এছাড়া ভারত নির্মাণ পার্টির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতি নির্বাচিত হলেন অশোক গুড়িয়া এবং জেলার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন প্রণব দাস। দলের জেলা সম্মেলন শেষে রবিবার বিকালে সুতাহাটার সুবর্ণজয়ন্তী হলে সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানান ভারত নির্মাণ পার্টির রাজ্য সভাপতি লক্ষণ শেঠ। তিনি জানান ১০৭ জনের জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাছাড়াও দলের সম্পাদক, সহ সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ ও অফিস সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। লক্ষণবাবুর দাবি, শনি ও রবিবার সম্মেলনে ৯২০ জন প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন।
এ দিন সমাবেশে লক্ষ্মণবাবু বলেন, ‘‘সিপিএম রাজ্যে আর ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না। তৃণমূল বা বিজেপির প্রতি মানুষের মধ্যে হতাশা দেখা দিচ্ছে। রাজ্যে তৃতীয় বিকল্প হিসাবে ভারত নির্মাণ পার্টি উঠে আসবে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুর-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।’’ এ দিন ফের তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসা করেন লক্ষণবাবু। তার কথায়, ‘‘বাম আমলে আমি হলদিয়া বন্দরকে স্বাধীন বন্দর করার দাবি তুলেছিলাম। তমলুক কেন্দ্রের বর্তমান সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী সেই একই দাবি জানিয়েছেন। এটা প্রশংসার।’’
শনিবার থেকেই দু’দিন ব্যাপী ভারত নির্মাণ পার্টির জেলা সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশ চলছিল হলদিয়ার সুতাহাটায়। শনিবারের সভাতেও সিপিএমের সমালোচনা করেন লক্ষ্মণবাবু। এ দিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রশংসা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় প্রশংসার যোগ্য। তিনি ক্ষমতায় আসার পর পাহাড় ও জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরিয়ে এনেছেন। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বুকের পাটা আছে বলেই তা সম্ভব হয়েছে।’’
কিন্তু সিপিএম ছেড়ে নতুন দল গড়ার পরও কেন বারবার পুরনো দলকে টেনে কথা বলেন? লক্ষ্মণবাবুর সাফাই, ‘‘মানুষকে এখনও একথা বোঝাতে হবে। কেননা মানুষের মনের মধ্যে যে সব বিষয় ঢুকে রয়েছে তা মুছতে আরও সময় লাগবে।’’
জুয়া-মদের ঠেকে হানা। অসামাজিক কাজ রুখতে শনিবার কাঁথি, মারিশদা ও রামনগর থানার বিভিন্ন জায়গায় জুয়া ও মদের বেআইনি মদের ঠেকে অভিযান চালাল পুলিশ। ৯জনকে গ্রেফতার করা ছাড়াও আটক করা হয়েছে বেআইনি মদ। কাঁথির পুলিশ শহরে জুয়াবোর্ডে হানা দিয়ে তিন জুয়াড়িকে গ্রেফতার করে। মারিশদা থানার কুমির্দাতে ও রামনগর থানার কন্দর্পপুরে বেআইনি মদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে পুলিশ প্রচুর মদ আটক করে।