তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
বিচারব্যবস্থাকে ‘আক্রমণ’ করে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে আদালত অবমাননা হয়েছে বলে রাজ্যের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল জয়ন্ত মিত্র মন্তব্য করেছেন। রবিবার ভারত সভা হলে ‘গণতন্ত্রের সঙ্কট’-শীর্ষক একটি আলোচনা সভায় তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে হিংসায় নন্দীগ্রামে আহত তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের দেখতে শুক্রবার এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়েছিলেন অভিষেক। বেরিয়ে এসে বিচারব্যবস্থার ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ তুলে এক বিচারপতির নাম করে অভিযোগ করেন তিনি। এ দিন জয়ন্ত বলেন, ‘‘ওই মন্তব্য আদালত অবমাননার শামিল। এটা বলা তাঁর উচিত হয়নি। এটা অত্যন্ত অন্যায় ব্যাপার। রাজ্য সরকার বা দলের বিরুদ্ধে আদালতের রায় পছন্দ না হলে তিনি উচ্চ আদালতে যেতে পারেন। পলিটিক্যাল প্ল্যাটফর্ম থেকে কোর্টের বিচার হয় না। আর যদি সেটা কেউ করবার চেষ্টা করে তা হলে আদালত অবমাননা হয়।’’ এই মন্তব্যের জন্য অভিষেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে বলেও জানিয়েছেন জয়ন্ত। পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার হিংসা নিয়ে এ দিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।
তবে অভিষেকের মন্তব্য নিয়ে কিছু বলতে চাননি কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগ। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত কলকাতা হাই কোর্টের আর এক প্রাক্তন বিচারপতি সমরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, ‘‘হাই কোর্টকে আক্রমণ নতুন নয়। কিন্তু মানুষ কোর্টের কাছেই যায়। আগেও গিয়েছে , এখনও যাচ্ছে। উনি কোর্টে যাচ্ছেন না কেন?’’
পঞ্চায়েতে হিংসার জন্য নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে জয়ন্ত বলেন, ‘‘ভোট করানোর ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনই শেষ কথা। তাদের উচিত ভোটার, ভোটকর্মীদের স্বার্থ ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। মীরা পাণ্ডে সেটা করেছিলেন। সিআরপিএফ আরও আগে আনার দরকার ছিল।’’ অনুষ্ঠানে দেশের নানা দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন প্রাক্তন বিচারপতি বাগ। বাগ কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত চলছে।