জেলের নিয়ম ভেঙে পার্থের হাতে আংটি কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল আদালত। ফাইল চিত্র।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মামলার জামিনের শুনানিতে এ বার দিল্লি থেকে আসছেন আইনজীবী। সোমবার কলকাতার নগর দায়রা আদালতে নিয়োগ মামলার শুনানি চলাকালীন এ কথা জানিয়েছেন পার্থের আইনজীবীই। পার্থের বিরুদ্ধে নিয়োগ সংক্রান্ত ইডির মামলার বিচার চলছিল আদালতে। সেখানে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। তখনই তিনি আদালতকে বলেন, ‘‘পার্থের শুনানির জন্য এর পর দিল্লি থেকে আইনজীবী আসবেন।’’
গত বছর ২৩ জুলাই পার্থকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দু’টি ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া গিয়েছিল প্রায় ৫০ কোটি টাকা। যা নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলেই অভিযোগ করেছিল ইডি। সোমবার পার্থের বিরুদ্ধে ইডির সেই মামলারই শুনানি ছিল বিচার ভবনে। পার্থের আইনজীবী তাঁর জামিনের আবেদন করলেও ইডি জানায় তাদের আরও সময় চাই। দু’তরফের দাবি বিচারকের কাছে পেশ করার পর্বেই পার্থের আইনজীবী বিচারককে বলেন, পার্থের মামলার জন্য এর পর দিল্লি থেকে আইনজীবী আসবেন। অন্য দিকে, সোমবার আদালতও জানিয়েছে, পার্থের আংটিকাণ্ডে যে রিপোর্ট আদালতকে দেওয়া হয়েছে, তা সন্তোষজনক মনে হয়নি আদালতের।
নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ কেন জেলের নিয়ম ভেঙে হাতে আংটি পরে রয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল ইডি। এর পর প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের কাছে এর কারণ জানতে চেয়েছিল বিচার ভবন। আদালতের নির্দেশেই ওই সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করেছিলেন আইজি (কারা)। সূত্রের খবর, ওই রিপোর্টে আইজি জানিয়েছিলেন, জেল সুপারকে সতর্ক করা হয়েছে। সোমবার নগর দায়রা আদালতের বিচারক ওই রিপোর্টের প্রসঙ্গ তুলে জানান, আংটিকাণ্ডে যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে, তা সন্তোষজনক নয়। আদালতের এই মন্তব্যের পর আইজি (কারা)-র রিপোর্ট নিয়ে কটাক্ষ করেছেন ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। তিনি বিচারককে বলেন, ‘‘আইজি (কারা)-কে তবে রিপোর্ট দেওয়ার প্রশিক্ষণের জন্য হায়দরাবাদের আইপিএস ট্রেনিং সেন্টারে পাঠানো উচিত।’’ তবে এই কথোপকথন আর বেশি দূর গড়ায়নি।
আপাতত পার্থের মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ১ জুলাই। ওই দিনই এডিজি এবং আইজি (কারা)-র কাছ থেকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। পার্থের আইনজীবীর কথামতো সেই দিন পার্থের মামলার শুনানির জন্য দিল্লি থেকে আইনজীবীও আসতে পারেন। এর আগে নিয়োগ মামলায় জেলবন্দি অর্পিতার শুনানির জন্যও দিল্লি থেকে আইনজীবী এসেছিলেন। তিনি পার্থকে গোটা ঘটনার নেপথ্যে ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন আদালতে।