একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাবের ৫০ বছরের বেশি সময় সভাপতি ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
আগামী ১৪ জুন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা প্রয়াত রাজনীতিক সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন। ওই দিনই তাঁর ক্লাব একডালিয়া এভারগ্রিনে বসানো হবে তাঁর মূর্তি। দীর্ঘ ৫০ বছর এই ক্লাবের সভাপতি ছিলেন সুব্রত। তাঁর প্রয়াণের পর ক্লাবকর্তাদের সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতির পদে বসানো হয়েছে তাঁর স্ত্রীকে। তাঁর অনুমতি নিয়েই মূর্তিটি বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, সুব্রতর দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক জীবনের বন্ধু শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। এ ছা়ড়াও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়, স্থানীয় বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয় এবং রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমারকে।
গড়িয়াহাট এলাকার একটি পার্কে কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে বসানো হয়েছিল প্রাক্তন প্রয়াত মেয়রের সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মূর্তি। উদ্বোধনে এসে সেই মূর্তিটি দেখে উষ্মাপ্রকাশ করে সরানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মূর্তি সরানোর উদ্যোগ শুরু হয়েছে বলে কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর। কিন্তু পুরসভার কাজের অপেক্ষা না করে সুব্রতবাবুর জন্মদিনে একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাবেই বসতে চলেছে তাঁর মূর্তি। কলকাতা পুরসভা সুব্রতর যে মূর্তিটি গড়িয়াহাট এলাকার চিলড্রেন্স পার্ক বসিয়েছে, তা মুখ্যমন্ত্রীর মতো অপছন্দ একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাব কর্তৃপক্ষেরও। তবে পুরসভার মূর্তি পছন্দ না হওয়াতেই প্রয়াত সভাপতির মূর্তি ক্লাব প্রাঙ্গণে বসানো হচ্ছে, এমনটা মানতে চাননি ক্লাব সম্পাদক স্বপন মহাপাত্র। তিনি বলেন, ‘‘কলকাতা পুরসভার বিষয় সম্পূর্ণ তাঁদের নিজের বিষয়। তার সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। ৫০ বছরের বেশি সময় সু্ব্রতদা আমাদের সভাপতি ছিলেন। তাঁকে সম্মান জানাতেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
পাথরের মূর্তিটি তৈরি করেছেন শিল্পী সঞ্জীব সরকার। ওই দিনই ২০২৩ সালের একডালিয়া এভারগ্রিন শারদোৎসবের খুঁটি পুজোর অনুষ্ঠান হবে। এ বার থেকে প্রতি বছর তাঁর জন্মদিনেই দুর্গাপুজোর ঘোষণা করবেন তাঁরা। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর কালীপুজোর রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে প্রয়াত হন সুব্রত। প্রয়াত হওয়ার সময় তিনি বালিগঞ্জ বিধানসভার বিধায়কের পাশাপাশি, রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ছিলেন। এ ছাড়াও চলতি বিধানসভার সবচেয়ে প্রবীণতম সদস্য ছিলেন তিনিই।