দেশদ্রোহিতায় দোষী সাব্যস্ত লস্কর জঙ্গি 

মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক-১ বিচারক বিনয়কুমার পাঠক তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন। মামলার সরকারি আইনজীবী সমীর দাস বলেন, দেশদ্রোহিতা, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, যুদ্ধ ঘোষণা, অস্ত্রমজুত-সহ  ১৫টি মামলায় সামিরকে বিচারক দোষী সাব্যস্ত করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:৪৩
Share:

শেখ সামির

পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে বিএসএফের হাতে ধরা পড়া লস্কর-ই-তইবার জঙ্গি শেখ নঈম ওরফে সামির দেশদ্রোহিতার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হল বনগাঁ আদালতে।

Advertisement

মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক-১ বিচারক বিনয়কুমার পাঠক তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন। মামলার সরকারি আইনজীবী সমীর দাস বলেন, ‘‘দেশদ্রোহিতা, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, যুদ্ধ ঘোষণা, অস্ত্রমজুত-সহ ১৫টি মামলায় সামিরকে বিচারক দোষী সাব্যস্ত করেছেন। বৃহস্পতিবার মামলায় রায় ঘোষণা।’’ এই মামলায় আগেই তিনজনের ফাঁসির ঘোষণা করেছিলেন বিচারক। সমীর জানান, তদন্তে নেমে সিআইডি জানতে পারে, ধৃতেরা সকলেই লস্করের আত্মঘাতী বাহিনীর সদস্য। কাশ্মীরে সেনা ছাউনিতে হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের।

পুলিশ ও সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে বিএসএফ জঙ্গি সন্দেহে চারজনকে গ্রেফতার করে। বনগাঁ থানার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। পরে মামলার তদন্তভার নেয় সিআইডি।

Advertisement

সামির ছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছিল মহম্মদ ইউনুস, শেখ আবদুল্লাহ ও মুজাফ্ফর আহমেদ রাঠৌড়। আবদুল্লাহ ও ইউনুসের বাড়ি পাকিস্তানে। রাঠৌড় কাশ্মীরের বাসিন্দা। সামিরের বাড়ি মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ। তাদের কাছ থেকে প্রচুর নথিপত্র উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। ২০১২ সালের জুলাই মাসে বনগাঁ আদালতে মামলার শুনানি শুরু হয়।

সিআইডি জানিয়েছে, আবদুল্লাহ ও ইউনুস পাকিস্তানে কম্যান্ডো প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। তারা রাওয়ালপিণ্ডি থেকে বিমানে ঢাকা এসেছিল। সেখানে মতিঝিল এলাকায় একটি হোটেলে ওঠে। সামির ও রাঠৌড়ও আসে সেখানে। সকলে চোরাপথে বেনাপোল সীমান্ত পেরিয়ে পেট্রাপোলে ঢুকেছিল।

২০১৭ সালে বনগাঁ আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক-১ আদালতের বিচারক সামির ছাড়া বাকি তিনজনকে ফাঁসির নির্দেশ দেন। ২০১৪ সালের অগস্ট মাসে সামির পালিয়ে গিয়েছিল। সরকারি আইনজীবী জানান, বনগাঁ আদালতে মামলা চলাকালীন মুম্বই পুলিশ তাকে সে রাজ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাতেও জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল সামিরের বিরুদ্ধে। ছত্রিসগঢ়ের কাছে চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে পালায় সে।

সে সময়ে তার মা মুম্বই আদালতে অভিযোগ করে জানান, ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এনআইএ সামিরকে গ্রেফতার করে। মাস দু’য়েক আগে বনগাঁ আদালতে সামিরের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি শুরু হয়। এ দিন বিচারক ওই মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করলেন।

%CLICK_URL_UNESC%%'});

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement