আছড়ে পড়ছে মিগজাউম। উত্তাল সমুদ্র। ছবি: পিটিআই।
অন্ধ্রপ্রদেশে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে শুরু করল ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। তিন ঘণ্টা ধরে চলবে এই আছড়ে পড়ার (ল্যান্ডফল) প্রক্রিয়া। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পশ্চিম বর্ধমান ছাড়া দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় মঙ্গলবার হতে পারে হালকা বৃষ্টি। বুধ এবং বৃহস্পতিবার বৃষ্টি বাড়তে পারে।
অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের বাপাতলার কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়ছে মিগজাউম। শেষ ছ’ঘণ্টায় সমুদ্রের উপর এর গতিবেগ ছিল ১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। তবে আছড়ে পড়ার সময় মিগজাউমের গতি ছিল ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। ঝোড়ো হাওয়ার গতি থাকতে পারে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার। মিগজাউমের প্রভাব অন্ধ্রপ্রদেশের তুলনায় তামিলনাড়ুতেই বেশি পড়েছে। ইতিমধ্যে চেন্নাইয়ে মারা গিয়েছেন আট জন। জলমগ্ন শহরের বহু এলাকা।
অন্ধ্রপ্রদেশে সরকার আট জেলায় সতর্কতা জারি করেছে। তিরুপতি, নেল্লোর, প্রকাশম, বাপাতলা, কৃষ্ণা, পশ্চিম গোদাবরী, কাকিনাড়া, কোনাসীমার প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে। উপকূল থেকে বাসিন্দাদের সরানো হয়েছে। অবস্থা বুঝে আধিকারিকদের দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি। পুদুচেরির উপকূলবর্তী এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সেখানে ঘোরাফেরায় বিধিনিষেধ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মঙ্গলবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু পশ্চিম বর্ধমানে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বুধবার সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে জেলার সব জায়গায় বৃষ্টি হবে না। বৃহস্পতিবারও দক্ষিণের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।