সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনের মিছিল সিঙ্গুরে। রবিবার দীপঙ্কর দে-র তোলা ছবি।
জমি ফেরত প্রক্রিয়ায় তৎপরতা আরও বাড়ল। চাষিদের জমির কাগজপত্র নিয়ে দ্রুত ব্লক অফিসে আসার সুবিধার জন্য প্রশাসন আগেই গাড়ির ব্যবস্থা করেছিল। রবিবার থেকে গ্রামে গ্রামে শুরু হল মাইকে প্রচারও।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গুরে আসার দিন যত এগিয়ে আসছে, তত জমি ফেরত প্রক্রিয়ায় গতি বাড়ানো হচ্ছে। প্রশাসনের একটি সূত্রের খবর, বুধবার মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠক ছাড়াও যে সমাবেশ করবেন, সেখানে কয়েকজন চাষির হাতে তিনি ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেবেন। কিছু চাষিকে জমিও ফিরিয়ে দিতে পারেন। তাই এই তৎপরতা। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬০০ চাষি তাঁদের অধিগৃহীত জমির দলিল-পরচা জমা দিয়ে ক্ষতিপূরণের আবেদনপত্র তুললেও অনেকেই এখনও হাজির হননি। তাঁদের জন্যই প্রচারের ব্যবস্থা করা পাশাপাশি দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে লাগোয়া সানাপাড়ায় মমতার সভামঞ্চ তৈরির কাজও চলছে জোরকদমে। এ দিনও ওই সড়কের কলকাতামুখী ‘লেন’ দিয়ে দু’দিকের গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করে পুলিশ। তার জেরে যানজটও হয়। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, শীর্ষ আদালত সময় বেঁধে দিয়েছে। সে জন্য কাজে গতি বাড়ানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী এসে যাতে কাজে সন্তুষ্ট হন, তাই কোনও ফাঁক রাখা হচ্ছে না।
চেনা জমি ছাড়তে নারাজ পদ্মগোখরো। সিঙ্গুরে।-নিজস্ব চিত্র
এ দিন, সিপিআই (এমএল) লিবারেশন অনিচ্ছুকদের ১০ বছরের সুদ-সহ ক্ষতিপূরণ, নথিভুক্ত, অনথিভুক্ত বর্গাদার ও খেতমজুরদের আর্থিক ক্ষতিপূরণের প্যাকেজ ঘোষণা-সহ তিন দফা দাবিতে কামারকুণ্ডু রেলগেট থেকে মিছিল করে। একটি পথসভাও করে তারা। ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। যদিও এর জন্য কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে প্রশাসন জানিয়েছে।