partha chatterjee

Partha Chatterjee: সাত বাড়ির পরে শান্তিনিকেতনে ‘মন্ত্রীর জমি’ ঘিরে এ বার নয়া চর্চা

পার্থ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই দিনভর চর্চায় ছিল শান্তিনিকেতনের ফুলডাঙা, প্রান্তিক, সোনাঝুরি, অ্যান্ড্রুজ পল্লি এলাকার সাতটি সুদৃশ্য বাড়ি।

Advertisement

বাসুদেব ঘোষ 

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২২ ০৬:৩২
Share:

শান্তিনিকেতনের এই জমি নিয়েই চলছে চর্চা। নিজস্ব চিত্র

‘মন্ত্রীর বাড়ি’র পরে এ বার শান্তিনিকেতনের হাওয়ায় ‘মন্ত্রীর জমি’র গুঞ্জন।

Advertisement

শনিবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী (বর্তমানে শিল্পমন্ত্রী) পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পরেই শান্তিনিকেতনের একাধিক বাড়িতে তাঁর যাতায়াতের কথা শোনা গিয়েছিল। এমনই একটি বাড়ির কেয়ারটেকারের দাবি, এক কলেজ-শিক্ষিকার দেখভাল করা ওই বাড়িতে আসা-যাওয়া ছিল মন্ত্রীর। এ বার কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছে শান্তিনিকেতনে ‘মন্ত্রীর জমি’র কথাও। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, মন্ত্রীকে তাঁরা ওই জমির পর্যবেক্ষণে কখনও-সখনও আসতে দেখেছেন। তবে নথি অনুযায়ী ওই জমি-বাড়ি কার, তা যাচাই করেনি আনন্দবাজার।

সোনাঝুরিপল্লি ও বল্লভপুরডাঙার মাঝে বিঘে ছয়েক জমি নিয়েই জোর গুঞ্জন শান্তিনিকেতনে। ওই জমি কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা। রবিবার গিয়ে জমি পাহারায় থাকা কারও দেখা মেলেনি। তবে স্থানীয় বাসিন্দা নিত্যানন্দ মুখোপাধ্যায়, নারায়ণ হাঁসদারা বলেন, “এখানে পার্থবাবুর জমি রয়েছে বলেই জানি। ওঁকেও দেখেছি এক-আধবার জায়গা দেখতে এসেছেন। তবে এই সমস্ত কিছুই তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু দেখাশোনা করতেন।” ওই জমির বিষয়ে বোলপুরের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সঞ্জয় রায়কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “খোঁজ না নিয়ে বলা সম্ভব নয় জায়গাটি কার ও কী অবস্থায় রয়েছে।”

Advertisement

শনিবার মন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই দিনভর চর্চায় ছিল শান্তিনিকেতনের ফুলডাঙা, প্রান্তিক, সোনাঝুরি, অ্যান্ড্রুজ পল্লি এলাকার সাতটি সুদৃশ্য বাড়ি। ওই বাড়িগুলিতে মন্ত্রীর যাতায়াত ছিল বলেই স্থানীয় সূত্রে দাবি। জামবুনি এলাকায় একটি ফ্ল্যাট নিয়েও গুঞ্জন ছড়িয়েছে। আদপে সেই বাড়িগুলির মালিকানা মন্ত্রীরই কি না, তা নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। তবে স্থানীয়দের একাংশের দাবি, ওই বাড়িগুলি দেখভাল করতেন এক মহিলা কলেজ শিক্ষক। পার্থের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত এবং ইডি-র হাতে গ্রেফতার হওয়া অর্পিতা মুখোপাধ্যায়েরও ওই সমস্ত বাড়িতে যাতায়াত ছিল বলে স্থানীয় অনেকের দাবি। চর্চা চলছে এক ব্যক্তিকে নিয়েও, যিনি নাকি নিজেকে ‘মন্ত্রীর ভাগ্নে’ বলে পরিচয় দিতেন বলে স্থানীয়দের একাংশের দাবি।

যে বাড়িগুলি নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, তেমনই একটি বাড়ির কেয়ারটেকার শনিবার বলেন, ‘‘আমরা তো বেতনভুক কর্মচারী। বেশি কিছু বলতে পারব না। তবে, পার্থবাবু মাঝেমধ্যেই আসতেন। এখানকার বাড়িগুলিতে রাত কাটিয়ে ফিরে যেতেন।’’ শান্তিনিকেতনে তৃণমূলের মহাসচিবের বেশ নিয়মিতই যাতায়ত ছিল বলে বাড়িগুলি যে এলাকায়, সেখানকার বাসিন্দাদের অনেকে জানিয়েছেন।

শনিবারের মতো রবিবারও সকাল থেকে বাড়িগুলির সামনে ভিড় জমাতে থাকেন সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা। তবে সমস্ত বাড়ি এ দিন ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। কেয়ারটেকারদেরও এ দিন সামনে আসতে দেখা যায়নি। শনিবারই শোনা গিয়েছিল, পার্থের শান্তিনিকেতন এলাকায় কত সম্পত্তি রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখতে ইডির আধিকারিকদের একটি দলের সেখানে আসার কথা। রবিবার বিকেল পর্যন্ত অবশ্য এমন কোনও দল আসেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement