যোগ্য উপাচার্য, অধ্যক্ষ পেতে সমস্যা: শিক্ষামন্ত্রী

বিধানসভায় বুধবার ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি ল’স (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৯’ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের অবসরের বয়স ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৭০ বছর করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৯ ০৩:৩২
Share:

পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নিয়মের কড়াকড়িতে কলেজে যোগ্য শিক্ষক, অধ্যক্ষ এমনকি, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

বিধানসভায় বুধবার ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি ল’স (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৯’ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের অবসরের বয়স ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৭০ বছর করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী উপাচার্যদের বয়স বাড়ানোর ঘোষণা করার প্রেক্ষিতে ফেব্রুয়ারিতে অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স) জারি করেছিল রাজ্য সরকার। নিয়মমাফিক সেই অধ্যাদেশ রদ করে এ দিন বিল পাশের সময়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘আগে রাজ্যে কমসংখ্যক কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। এখন অনেক বেশি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। ইউজিসি-র নতুন নিয়মের বেড়াজালে কলেজের অধ্যাপক, অধ্যক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পেতে অসুবিধা হয়। সে কথা মাথায় রেখেই উপাচার্যদের অবসরের বয়স বাড়ানো হয়েছে।’’

রাজ্যের ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের মেয়াদবৃদ্ধির ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের সুপারিশক্রমে রাজ্য সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে পার্থবাবু জানান। তবে কোন জরুরি পরিস্থিতিতে এই বিষয়টি নিয়ে অধ্যাদেশ আনতে হয়েছিল, কেনই বা চলতি অধিবেশনের একেবারের শুরুতেই বিলটি আনা হয়নি, তা নিয়েও বিরোধীরা প্রশ্ন তোলেন। লোকসভা ভোটের মুখে বেশ কয়েক জন উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হয়েছিল। তাঁদের পুনর্বহাল করতেই অধ্যাদেশ আনা হয়েছিল বলে পার্থবাবু ব্যাখ্যা দেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement