—প্রতীকী চিত্র।
শুধু সর্বস্তরের ছাত্রছাত্রীর পড়াশোনা নয়, যাঁরা গবেষণা করছেন, অতিমারিতে তাঁদের কাজকর্মও ভীষণ ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই অবিলম্বে তাঁদের সকলকেই ক্যাম্পাসে ফেরাতে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে আবেদন জানাল খড়্গপুর আইআইটি-র শিক্ষক সমিতি।
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে জানানো হয়েছে, দিনের পর দিন গবেষণা থেকে দূরে থাকতে বাধ্য হওয়ায় খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ওই গবেষকেরা। তাই শিক্ষামন্ত্রী যেন তাঁদের ক্যাম্পাসে ফেরানোর বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন। শিক্ষক সমিতির দাবি, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৮৬% গবেষক ক্যাম্পাসে ফিরতে চান। অন্য একটি সমীক্ষা বলছে, ৯৫% শিক্ষক চাইছেন গবেষকেরা ক্যাম্পাসে ফিরুন।
খড়্গপুর আইআইটি-তে অন্তত ৩৮০০ গবেষক আছেন। তাঁদের মধ্যে ৯০০ জনকে ফেব্রুয়ারিতে ক্যাম্পাসে আনা হয়েছে। কারণ, তাঁদের গবেষণা শেষ পর্বে পৌঁছে গিয়েছে। এর আগে শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে ক্যাম্পাসে প্রথম দফার টিকাকরণ হয়েছে। সমিতি এ বার দ্বিতীয় দফার টিকাকরণে উদ্যোগী হয়েছে।
গবেষকদের একাংশের বক্তব্য, গত প্রায় দেড় বছরে অনেকেরই গবেষণার কাজ কিছুই হয়নি। পিএইচ ডি শেষ করে কবে ডিগ্রি পাবেন, তা নিয়ে তাঁরা চিন্তিত। ওই গবেষকেরা পাঁচ বছর ফেলোশিপ পান। পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলে আর ফেলোশিপ না-পাওয়ার দুশ্চিন্তাও রয়েছে।
রেজিস্ট্রার তমাল নাথ সোমবার জানান, শিক্ষক সমিতি যে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে এমন চিঠি লিখেছে, সেটা তাঁর জানা নেই। তবে তাঁরা ধীরে ধীরে সকলকে ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে তাঁরা চিন্তিত। তিনি জানান, ১০ অগস্ট অনলাইনে নতুন সিমেস্টারের ক্লাস শুরু হয়েছে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনেক পড়ুয়ার বাড়ি এতই দুর্গম অঞ্চলে যে, সেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা মেলে না। এই ধরনের ৩৫০ জন পড়ুয়াকে চিহ্নিত করে ক্যাম্পাসে আনার কাজ চলছে। যে-সব এমটেক পড়ুয়ার কোর্স একেবারে শেষ হয়ে আসছে, তাঁদেরও ক্যাম্পাসে ফেরানোর উদ্যোগ চলছে। তার পরে গবেষকদেরও আনা হবে।