কুস্তাউর রেলস্টেশনে অবরোধ। — নিজস্ব চিত্র।
সমাধানসূত্র মেলেনি এখনও। কুড়মালি আন্দোলনের তৃতীয় দিনেও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পুরুলিয়ায় অচলাবস্থা অব্যাহত। পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি এবং পুরুলিয়ার কুস্তাউর রেলস্টেশনে বৃহস্পতিবারও জারি অবরোধ। পাশাপাশি খেমাশুলির কাছে জাতীয় সড়কে জারি রয়েছে অবরোধ। তার জেরে ভোগান্তির মুখে পড়েছেন যাত্রীরা। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে বৃহস্পতিবার। সংক্ষিপ্ত করে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ।
কুড়মি জাতিকে তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত করা এবং কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলির অন্তর্ভুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে এ রাজ্যের ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পুরুলিয়ায়। শুরু হয়েছে রেল অবরোধও। বৃহস্পতিবার সেই অবরোধ তৃতীয় দিনে পড়লেও, আন্দোলনে ভাটা পড়েনি। বৃহস্পতিবারও দেখা গিয়েছে, কুস্তাউরে রেললাইনে বসে অবরোধ চালিয়ে যেতে। প্ল্যাটফর্মের উপরে শুরু হয়ে যায় নাচগান। একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে খেমাশুলি স্টেশনে। খেমাশুলির কাছে ছয় নম্বর জাতীয় সড়কে চলছে অবরোধ। সমাধানসূত্র না মেলা পর্যন্ত অবরোধ চলবে বলে হুঙ্কার দিয়েছেন কুড়মি সমাজের মূল নেতা অজিতপ্রসাদ মাহাতো। প্রশাসনের সঙ্গে একাধিক বার আলোচনা করেও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘সরকার আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। সরকারের কোনও সদর্থক ভূমিকা দেখতে পাচ্ছি না।’’
খেমাশুলির কাছে জাতীয় সড়ক অবরোধ। — নিজস্ব চিত্র।
আদ্রা ডিভিশনের ডিআরএম মণীশ কুমার বলেন, ‘‘আজ নিয়ে তিন দিন ধরে একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি ট্রেনের যাত্রাপথও পরিবর্তন করা হচ্ছে। আশা করছি, আজ বিষয়টি মিটে যাবে। আমরা কিছু ইতিবাচক ইঙ্গিত পেয়েছি।’’
বৃহস্পতিবারও দক্ষিণ-পূর্ব রেলে বাতিল করা হয়েছে একাধিক ট্রেন। এ নিয়ে দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য চৌধরি বলেন, ‘‘তিন দিন আগে অবরোধ সব জায়গা থেকে উঠে গেলেও এখনও খড়গপুর-টাটানগর রুটের খেমাশুলিতে এবং পুরুলিয়ার চাণ্ডিল রুটের কুস্তাউরে অবরোধ রয়েছে। আমরা অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলছি। যাত্রীদের সমস্যা হচ্ছে। ওই দু’টি রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আশা রাখছি, দ্রুত সমস্যা মিটবে।’’