কুন্তল ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
টেট-এর ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র দেখে সফল প্রার্থীদের তালিকা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে পাঠানোর দায়িত্ব বর্তেছিল ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি’-র উপরে। আর কুন্তল ঘোষ ছিলেন তৃণমূলের যুবনেতা। শুক্রবার প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় অতিরিক্ত চার্জশিট দিয়ে সিবিআইয়ের দাবি, এস বসু রায় সংস্থার সঙ্গে কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের আর্থিক লেনদেনের তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগে দুর্নীতি করতেই কুন্তল ভুয়ো ওয়েবসাইট খোলেন। তদন্তকারীদের দাবি, ওই ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই এস বসু রায় সংস্থার যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। ইডি গ্রেফতার করার পরে কুন্তল এখন জেলে। এস বসু রায় সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর কৌশিক মাজি ও কর্মচারী পার্থ সেনকেও পরে সিবিআই গ্রেফতার করে। তাঁরা দু’জনেও এখন জেলে রয়েছেন।
চার্জশিটে সিবিআইয়ের অভিযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত কোনও অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও পার্থকে ২০০৭-এ ওই সংস্থায় নিয়োগ করা হয়েছিল। চার্জশিটে আরও দাবি করা হয়েছে, ২০১৭-র ১১ মে কৌশিক ও পার্থর মাধ্যমে ৭৫২ জন অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা ই-মেল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের কাছে পাঠানো হয়েছিল। নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির মামলায় গ্রেফতার মানিকও এখন জেলে। সিবিআইয়ের অভিযোগ, এস বসু রায় সংস্থার পাঠানো ওই তালিকার ২৫৬ জন অযোগ্য প্রার্থীর চাকরি হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষক পদে। কৌশিকের আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ওই সংস্থার অন্যতম দুই ডিরেক্টর প্রয়াত হয়েছেন। তাঁদের নির্দেশেই সমস্ত কার্যকলাপ হত। কৌশিক কোনও ভাবেই জড়িত নন।’’
এ দিন আলিপুরে মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারকের এজলাসে চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। শুক্রবার আলিপুরের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত বন্ধ থাকায় বিচারবিভাগীয় বিচারকের এজলাসে ২২ পাতার ওই চার্জশিট জমা পড়েছে। ৩২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের দাবি।