Nabanna Abhijan

‘মধ্যরাত থেকে নিখোঁজ ৪ ছাত্রনেতা’, দাবি শুভেন্দুর, ‘উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা’, পাল্টা কুণালের

মঙ্গলবার সকালেই শুভেন্দু অধিকারী সমাজমাধ্যমে দাবি করেন, চার ছাত্রনেতার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর সন্দেহ, ওই চার জনকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়েছে। কুণাল ঘোষের পাল্টা দাবি, সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়ানোর উদ্দেশ্যেই এই পোস্ট।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২৪ ০৯:৫৪
Share:

(বাঁ দিকে) শুভেন্দু অধিকারী এবং কুণাল ঘোষ (ডান দিকে) —ফাইল চিত্র।

মঙ্গলবার ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর ডাকে নবান্ন অভিযান রয়েছে। ওই কর্মসূচিতে রাজনৈতিক পরিচিতিকে সরিয়ে রেখে ‘ব্যক্তিগত’ ভাবে থাকার জন্য আগেই ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার আগেই মঙ্গলবার সকালে শুভেন্দুর দাবি, চার জন ছাত্রনেতা ‘নিখোঁজ’। সমাজমাধ্যমে ওই চার ছাত্রনেতার নাম উল্লেখ করে বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, তাঁরা হাওড়া স্টেশনে আসছিলেন এবং মধ্যরাতের পর আচমকা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন।

Advertisement

শুভেন্দু সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, “তাঁদের কোনও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না, ফোনেও উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা সন্দেহ করছি, পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার বা আটক করে থাকতে পারে।” এর পরই বিরোধী দলনেতার সংযোজন, “যদি তাঁদের (ওই চার ছাত্রনেতার) কিছু হয়ে যায়, তার জন্য দায়ী থাকবে মমতার পুলিশ।”

মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযান ঘিরে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে পুলিশ। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায়, তার জন্য কলকাতা পুলিশের নিয়ন্ত্রাণাধীন এলাকায় ছ’হজার পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকছেন। নবান্নের আশপাশের গলির মুখেও বসানো হচ্ছে ব্যারিকেড। সোমবার বিকেলেই হাওড়ার শরৎ সদনে পুলিশকর্তাদের এক উচ্চ পর্যায়ের জরুরি বৈঠক হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য ও হাওড়া পুলিশের পদস্থ আধিকারিকেরা।

Advertisement

বিরোধী দলনেতা যে আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছেন, সে নিয়ে পুলিশের তরফে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। তবে শুভেন্দুর পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “এঁরা আদৌ নিখোঁজ কি না, কেউ নিখোঁজ করালেন কি না, কেউ জানেন না। সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়াতে এই সব পোস্ট করা হচ্ছে। যাঁরা অনুমতিহীন আন্দোলন এবং আন্দোলনের নামে অশান্তি তৈরির চেষ্টাকে উৎসাহ দিতে চাইছেন, এর সব দায়িত্ব ওঁদের।”

উল্লেখ্য, মঙ্গলবারের কর্মসূচিতে যে গোলমালের আশঙ্কা রয়েছে, সেই উদ্বেগের কথা সোমবার দুপুরেই জানিয়েছিল পুলিশ। রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) মনোজ বর্মা ও এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সেই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছিলেন। এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম বলেছেন, ‘‘নবান্নের ওই অভিযানে মহিলা এবং ছাত্রদের সামনে রেখে পিছন থেকে অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি করা হতে পারে বলে খবর পেয়েছি আমরা। পুলিশকে বলপ্রয়োগে উস্কানি দিতেই এটা করা হবে।’’

প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরেই তৃণমূল ভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে দু’টি গোপন ভিডিয়ো প্রকাশ করেছিলেন কুণাল ঘোষ, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যরা। ওই ভিডিয়োগুলির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। তবে ওই ভিডিয়োগুলির কথোপকথনে উঠে এসেছে মঙ্গলের কর্মসূচিতে অশান্তি পাকানোর চেষ্টার ইঙ্গিত। সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। তৃণমূলের প্রকাশ করা গোপন ভিডিয়োয় তাঁদের দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement