অভিষেকের বক্তব্যের সমর্থন করে কল্যাণকে আক্রমণ কুণালের
রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কর্মসূচি দু’মাস বন্ধ রাখা নিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন দলের আর এক সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে রাজনৈতিক জলঘোলা শুরু হতেই কল্যাণের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘দলের সর্বাধিনায়িকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরেই রয়েছেন অভিষেক। অভিষেকের মতো নেতা কিছু বললে দলের সাধারণ সৈনিক হিসেবে তা আমাদের চুপ করে শোনা উচিত। কোনও মন্তব্য করার আগে সব দিক ভেবে দেখা উচিত।’’
কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কর্মসূচি বন্ধ রাখার বিষয়টিকে নিজের ব্যক্তিগত মত হিসেবেই তুলে ধরেছেন অভিষেক। এখানেই আপত্তি জানিয়ে কল্যাণ বলেন, ‘‘দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদে থেকে কারও ব্যক্তিগত কোনও মত থাকতে পারে না। অনেক বিষয়ে আমারও ব্যক্তিগত মত আছে। দলীয় শৃঙ্খলার কারণেই তা প্রকাশ্যে বলা যায় না।’’
অভিষেকের মতকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধাচরণ বলেই মনে করেছেন কল্যাণ। এ বার শ্রীরামপুরের সাংসদের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে কুণাল বলেন, ‘‘সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যে যেমন ব্যক্তিগত মতামত ছিল, তেমনই সাধারণ মানুষের মনের কথাও ছিল। সাধারণ মানুষের মনের কথার বাইরে দল এবং দলের নেতাদের বক্তব্য হতে পারে না।’’
কুণাল আরও বলেন, ‘‘প্রশাসনের কিছু বাধ্যবাধকতা থাকে। পাশাপাশি যিনি সংগঠন করেন, তাঁরও মনের কথা কখনও কখনও বেরিয়ে আসে। মাথার উপর মমতাদি রয়েছেন, তার পর অভিষেক। দলের সাধারণ সৈনিক হয়ে এমন মন্তব্য অবাঞ্ছিত। এটা হওয়া উচিত নয়। দলের শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিষয়টিতে নজর রাখছেন।’’
অভিষেকের মতামতের বিরোধিতা করে কল্যাণের বক্তব্যকে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব হিসেবেই দেখছেন বিরোধীরা। যদিও তা মানতে রাজি নন কুণাল। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের মধ্যে যে স্ববিরোধিতা কাজ করছে, তা একেবারেই নয়। ভোটের নির্ঘণ্ট যখন ঘোষণা হয়, তখন কোভিড পরিস্থিতি এ রকম ছিল না। পরিস্থিতি যদি হাতের বাইরে চলে যায়, সে ক্ষেত্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে সওয়াল করেছেন, তা ভেবে দেখা জরুরি।’’