শহরের ভাঙা-চোরা ও পুরনো সব ফিডার বক্স বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিইএসসি। তার পরিবর্তে শক্ত ও সুরক্ষিত নতুন প্রযুক্তির ফিডার বক্স লাগানোর কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।
দিন কয়েক আগেই গোখেল রোডে খোলা ফিডার বক্সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় বছর ছয়েকের এক পথশিশু। যদিও দুর্ঘটনাটি সিইএসসি-র ফিডার বক্সের কারণে ঘটেনি। তবে খোলা ফিডার বক্সের কারণে অন্যান্য দুর্ঘটনাও ঘটে। তাই সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, উন্নত পরিষেবার জন্যই পুরনো ফিডার বক্সগুলি ধাপে ধাপে বদলে ফেলা শুরু হয়েছে।
সিইএসসি-র অন্যতম কর্তা (ডিস্ট্রিবিউশন) অভিজিৎ বসু জানান, ইতিমধ্যেই শহরে প্রায় ছ’হাজার ফিডার বক্স বদলে ফেলা হয়েছে। নতুন আরও চার হাজার ফিডার বক্স লাগানো হবে। নতুন বক্সগুলি অনেক বেশি সুরক্ষিত এবং আধুনিক।
এই ফিডার বক্সের কাজ কী?
সাধারণত কোনও অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে গেলে ফিডার বক্সের দরকার পড়ে। যে কোনও সাবস্টেশন থেকে সরবরাহ করা বিদ্যুৎ ট্রান্সফর্মার হয়ে ওই ফিডার বক্সের মাধ্যমেই ছোট-ছোট অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। এই বক্সগুলি রাস্তার ধারে ফুটপাথের উপরে বসানো থাকে। তার ভিতরে থাকে অনেকগুলি ফিউজ। কলকাতায় এমন ফিডার বক্স সিইএসসি-র পাশাপাশি কলকাতা পুরসভা ও পূর্ত দফতরেরও রয়েছে।
পথচারীদের অভিযোগ, নানা জায়গায় অভিযোগ জানানো হলেও ভাঙা ফিডার বক্সগুলি খুব কম ক্ষেত্রেই সারানো হয়। ফলে বিপদ মাথায় নিয়েই তাঁদের ফুটপাথ দিয়ে হাঁটতে হয়। সিইএসসি-সহ অন্যান্য সরকারি পরিষেবাদানকারী সংস্থাগুলি দাবি করেছে, ফিডার বক্স সারানো হলেও অনেক সময়েই দরজা ভেঙে তামার তার চুরি হয়ে যায়। দরজা, তালাও চুরি হয়। ফলে সেগুলি বদলাতেও কিছু সময় লেগে যায়।
সিইএসসি নতুন যে ফিডার বক্সগুলি লাগাচ্ছে, সেগুলি শুধু সুরক্ষিতই নয়, তাদের ফিউজও চট করে কেটে যায় না। ফলে যখন-তখন বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটবে না। নতুন বক্স লাগানোর পরে ওই ধরনের ঘটনাও অনেক কমে গিয়েছে বলে সিইএসসি-র কর্তাদের দাবি।