এক দিকে সকাল থেকেই প্রচণ্ড গরমে নাজেহাল অবস্থা। অন্য দিকে, সাতসকালেই মেট্রো-বিভ্রাট। যার জেরে পাঁচ ঘণ্টার ভোগান্তি। বৃহস্পতিবার মেট্রো চলাচলের শুরু থেকে এমনই এক অবস্থার শিকার হলেন নিত্যযাত্রীরা।
মেট্রো রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সিগন্যালিং ব্যবস্থায় গোলমাল দেখা দিয়েছিল। তাই দমদম থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত আপ-ডাউন দু’দিকের লাইনেই মেট্রো চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এ দিন সকালে। ফলে ওই সময়ে কোনও মেট্রোই ঠিকঠাক চলতে পারেনি। প্রতিটি স্টেশনেই বেশ কিছুক্ষণ করে থেমে থেমে চলতে হয়েছে। ফলে স্বভাবতই সময় লেগে গিয়েছে অনেক বেশি। মেট্রো-কর্তাদের দাবি, সকাল পৌনে এগারোটা নাগাদ সিগন্যালের ত্রুটি মেরামত করা হয়। যদিও তার আগে সকালের দিকে দু’টি মেট্রো বাতিল করতে হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল এ দিন?
মেট্রোর কর্তাদের বক্তব্য, ইলেকট্রনিক সিগন্যালিং ব্যবস্থায় কোনও ভাবে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। তার জেরেই বিপত্তি। মেট্রো-কর্তৃপক্ষ যান্ত্রিক ত্রুটির কথা বললেও মেট্রো-কর্তাদের একাংশ জানিয়েছেন, মাত্র বছরখানেক আগেই কয়েক কোটি টাকা খরচ করে কলকাতা মেট্রোর সিগন্যাল ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করা হয়েছে। যা এখনও নতুন অবস্থাতেই রয়েছে। তা হলে সেই যন্ত্রে এমন ত্রুটি হবে কেন? কর্তৃপক্ষের অবশ্য বক্তব্য, যন্ত্র বিগড়োতেই পারে। কিন্তু মেরামত করতে এত দেরি লাগল কেন? মেট্রো রেল সূত্রের খবর, কোথায় ত্রুটি তা ধরতেই সময় লেগে গিয়েছে। তাতেই হয়েছে দেরি।
এ দিকে, সকাল থেকেই মেট্রোয় গোলমাল দেখা দেওয়ায় নিত্যযাত্রীদের চরম হয়রানি হয়েছে। অনেকেই দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরে অগত্যা সড়কপথ ধরেছেন। চৈত্রের গরমে বেড়েছে দুর্ভোগ।
প্রথম থেকেই মেট্রোর বাতানুকূল রেক নিয়ে সমস্যা ছিল। তার উপরে এ দিন সিগন্যাল ব্যবস্থায় নতুন করে ত্রুটি ধরা পড়ায় যাত্রীদের আশঙ্কা, এই সমস্যাও কী এ বার থেকে নিত্যসঙ্গী হবে? মেট্রো-কর্তারা অবশ্য এর কোনও জবাব দিতে পারেননি।