রুট ভেঙে চলছে অটো, নাকাল যাত্রীরা

রুট ভাঙায় নাকাল হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। গড়িয়া-টালিগঞ্জ রুটের অটো নিয়ে এমনই অভিযোগ নিত্যযাত্রীদের। এই রুটের অটো ইউনিয়ন সূত্রে খবর, টালিগঞ্জ থেকে গড়িয়া পর্যন্ত অটোর ভাড়া ১২ টাকা। গড়িয়া থেকে মালঞ্চ সিনেমা হল এবং রানিকুঠি পর্যন্ত ভাড়া ছ’টাকা, নেতাজিনগর-গাছতলা পর্যন্ত ৭ টাকা, বাঁশদ্রোণী পর্যন্ত ৮ টাকা, নাকতলা পোস্ট অফিস পর্যন্ত ৯ টাকা, আনন্দ আশ্রম ১০ টাকা, বান্টি সিনেমা হল ১১ টাকা।

Advertisement

দেবাশিস দাস

শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৪ ০৩:২৮
Share:

চলছে রুট ভাঙার খেলা। —ফাইল চিত্র।

রুট ভাঙায় নাকাল হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। গড়িয়া-টালিগঞ্জ রুটের অটো নিয়ে এমনই অভিযোগ নিত্যযাত্রীদের।

Advertisement

এই রুটের অটো ইউনিয়ন সূত্রে খবর, টালিগঞ্জ থেকে গড়িয়া পর্যন্ত অটোর ভাড়া ১২ টাকা। গড়িয়া থেকে মালঞ্চ সিনেমা হল এবং রানিকুঠি পর্যন্ত ভাড়া ছ’টাকা, নেতাজিনগর-গাছতলা পর্যন্ত ৭ টাকা, বাঁশদ্রোণী পর্যন্ত ৮ টাকা, নাকতলা পোস্ট অফিস পর্যন্ত ৯ টাকা, আনন্দ আশ্রম ১০ টাকা, বান্টি সিনেমা হল ১১ টাকা। কোনও চালকের টালিগঞ্জ থেকে গড়িয়া পর্যন্ত এক ট্রিপে সাধারণ ভাবে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা আয় হয়।

অভিযোগ, টালিগঞ্জ থেকে গড়িয়া আসা-যাওয়া করতে সময় লাগে ঘণ্টা খানেকের মতো। গ্যাসও খরচ হয় বেশি। কিন্তু হিসেব করে রুট ভাঙলে চালকদের অল্প সময়ের লাভ হয় অনেক বেশি।

Advertisement

তবে এতে খরচ বেশি হয় যাত্রীদের। বার বার অটোয় ওঠা-নামার জন্য নাজেহালও হন যাত্রীরা।

এই রুটের অটো চালকদের একাংশ জানান, সরাসরি গড়িয়া গেলেও মাঝপথে যাত্রীরা ওঠা-নামা করেন। কিন্তু রুট ভাঙলে সহজেই লাভের পয়সা উঠে আসে। যেমন, টালিগঞ্জ থেকে মালঞ্চ সিনেমা, রানিকুঠি, নেতাজিনগর পর্যন্ত আসা-যাওয়া করলে ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই হিসেব মতো টাকা উঠে আসে, গ্যাসও কম খরচ হয়। অথচ এক জন যাত্রী যেখানে সরাসরি বারো টাকার বিনিময়ে নির্দিষ্ট স্থানে যেতে পারেন, সেখানে তার তিন বার অটো বদলে গড়িয়া যেতে হলে খরচ হয় কুড়ি টাকা।

এই রুটের তৃণমূল পরিচালিত অটো ইউনিয়নের নেতা বিতান হালদার বলেন, “অনেক বার চেষ্টা করা হয়েছে। শাস্তিও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সুযোগ পেলেই কিছু চালক রুট ভাঙার চেষ্টা করছেন এখনও। আমরা তাঁদের চিহ্নিত করার ব্যবস্থা করছি। এঁদের জন্য আমাদের ভুল বুঝছেন যাত্রীরা।”

এই রুট নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগ, রাত আটটার পরে বেশিরভাগ চালক টালিগঞ্জ থেকে মালঞ্চ সিনেমার বেশি যেতে চান না। কিছু অটো অবশ্য রানিকুঠি এবং নেতাজিনগরও যায়। কিন্তু তার পরে বাঁশদ্রোণী, নাকতলা, রথতলা, গড়িয়া যাওয়ার অটো পাওয়া যায় না। দিনেও রানিকুঠি, নেতাজিনগর আর বাঁশদ্রোণীর বেশি যেতে চান না চালকরা। এই রুটের নিত্যযাত্রী রথতলার বাসিন্দা জয়দীপ চক্রবর্তীর অভিযোগ, “রাতে টালিগঞ্জে যাত্রীরা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেও অটো চালকরা এগিয়ে কাছাকাছি স্টপের যাত্রী তুলে চলে যান। লাইন এবং অটো চালকদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কেউ থাকে না।”

পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “এই সব সমস্যা দেখার জন্য দফতরের তিন জন উচ্চপদস্থ কর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছি। তাঁরা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিলে ব্যবস্থা নেব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement