দৃশ্য ১: দুপুর ২টো ৩৫ মিনিট। এ জে সি বসু রোডের মোড়। পুলিশ-কিয়স্কে শুয়ে রয়েছে এক শিশু। ট্রাফিক পুলিশের দেখা নেই। যে যার মতো রাস্তা পেরোচ্ছে। পাশে রেলিংয়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন গ্রিন পুলিশের এক কর্মী।
দৃশ্য ২: বিকেল ৩টে ১০ মিনিট। চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ এবং মহাত্মা গাঁধী রোডের মোড়। ট্রাফিক পুলিশের কোনও দেখা নেই। পথচারীরা নিজেদের মতো রাস্তা পেরোচ্ছেন।
এমনই দৃশ্য এখন দেখা যাচ্ছে কলকাতার অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে। কারণ, হঠাৎ কমে গিয়েছে ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা। পথচারীদের অভিযোগ, প্রতি রাস্তার মোড়ে কয়েক দিন আগেও যত সংখ্যক পুলিশ দেখা যেত, এক ধাক্কায় তা কমে গিয়েছে অনেকটাই। কোথাও কোথাও দু’-এক জন সার্জেন্ট রয়েছেন, অনেক জায়গাতেই এক জনেরও দেখা মিলছে না। রাস্তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ট্রাফিকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন গ্রিন পুলিশের কর্মীরা।
কেন এই অবস্থা? কোথায় গেলেন সমস্ত ট্রাফিক পুলিশকর্মী? লালবাজার সূূত্রে খবর, প্রত্যেক বারই বিভিন্ন ভোটের সময়ে ট্রাফিক, থানা এবং সশস্ত্র পুলিশ বিভাগ থেকে পুলিশকর্মী নিয়ে নেওয়া হয়। এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ভোটের শুরু থেকেই পুলিশকর্মীদের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়েছে। তবে এ বারে কিছুটা বেশি সংখ্যক পুলিশকর্মী চলে গিয়েছেন কলকাতা থেকে।
এ বছরের নির্বাচনে কত পুলিশ ভোটের কাজে বাইরে?
লালবাজার সূত্রের খবর, মোট চার হাজার পুলিশকর্মী ভোটের কাজে গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল বলে পুলিশ সূত্রের খবর। ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, বাহিনীর এক-চতুর্থাংশেরও বেশি ট্রাফিককর্মী বাইরে গিয়েছেন। এর বেশির ভাগকেই পাঠানো হয়েছে হাওড়ায়। অন্যান্য জেলাতেও গিয়েছেন পুলিশকর্মীরা। এই বাহিনী ২ মে-র মধ্যে ফিরে আসবে। ৩ মে ফের বেশ কিছু বাহিনী পাঠানো হবে আসানসোল এবং অন্যান্য জেলায়। এই বাহিনী ফিরবে ৮ মে-র পরে।
কিন্তু কম বাহিনী নিয়ে ট্রাফিক সামলাতে অসুবিধা হচ্ছে না? যুগ্ম কমিশনার (সদর) রাজীব মিশ্র বলেন, “সমস্যা হলেও যত জন পুলিশকর্মী আমাদের হাতে রয়েছেন, তাঁদের দিয়েই ট্রাফিক সামলানোর চেষ্টা করছি। ভোটের পরে পুলিশকর্মীরা ফিরে এলে এই সমস্যা মিটে যাবে।”