আগুন নেভাতে ফিনল্যান্ড থেকে আরও দু’টি বড় ল্যাডার কিনছে দমকল দফতর। এতে খরচ হবে ১৬ কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই ওই ল্যাডার দেখতে দমকলের এক কর্তাকে ফিনল্যান্ডে পাঠানো হয়েছে। বুধবার নবান্নে দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান জানান, নতুন দু’টি ল্যাডারের মধ্যে একটি ৫৪ মিটার এবং অন্যটি ৪২ মিটার উঁচু।
শহরে ক্রমশ গড়ে উঠছে নতুন নতুন বহুতল, শপিং মল। ওই সব জায়গায় আগুনের মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই চারটি ল্যাডার রয়েছে। সেগুলি ৭০, ৫৪, ৫০ এবং ৩০ মিটার উঁচু। নতুন দু’টি কেনা হলে শহরের নানা দিকে ওই ল্যাডারগুলি রাখা সম্ভব হবে। দমকলমন্ত্রী জানান, রাজারহাট, বেহালা, মধ্য কলকাতা এবং নোনাডাঙায় রাখা হবে ল্যাডারগুলি।
দমকল দফতর সূত্রে খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার আগে রাজ্যে দমকল কেন্দ্র ছিল ৯৬টি। বেশ কিছু কেন্দ্র তৈরির কাজও চলছিল। গত তিন বছরে নতুন প্রায় ১৫টি দমকল কেন্দ্র হয়েছে। বর্তমানে দমকল কেন্দ্র ১১৬টি। কিন্তু রাজ্যের ৩৪২টি ব্লকের সর্বত্র আগুন নেভানোর ব্যবস্থা নেই। তাই রাজ্য সরকার ৩০০টি পোর্টেবল পাম্প কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দমকলমন্ত্রী বলেন, “প্রতিটি থানায় একটি করে পোর্টেবল পাম্প এবং হোস পাইপ দেওয়া হবে। আগুনের খবর পেলেই পুলিশ গাড়িতে করে ওই পাম্প নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে।” কিন্তু পুলিশের কাছে তা দেওয়া হবে কেন? মন্ত্রী বলেন, “গ্রামে কোনও আগুন লাগলে পুলিশের কাছেই প্রথম খবর যায়। তাই পুলিশকে পাম্প দেওয়া হলে তাড়াতাড়ি তা ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া যাবে।” মন্ত্রী বলেন, “আমরা দমকলের সদর দফতর নোনাডাঙায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি। কেএমডিএ-র কাছে ৪৫ কাঠা জমি মিলেছে। এ ছাড়াও প্রগতি ময়দান, বরাহনগর, রাজারহাটে নতুন দমকল কেন্দ্র হবে। প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য ৮০ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ হয়েছে।”