গিরিশ পার্কের সরকার লেনের একটি বাড়ি থেকে শুক্রবার এক গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতার নাম অতসী চন্দ্র (৩১)। পুলিশ জানায়, শনিবার ওই তরুণীর মা তাঁর মেয়ের স্বামী, শাশুড়ি ও দুই ননদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, পণের জন্যই অতসীকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, অতসীর স্বামী সজল চন্দ্র, শাশুড়ি শ্রীমা চন্দ্র, ননদ জয়শ্রী মণ্ডল ও তনুশ্রী মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ১১ বছর আগে সোনার দোকানের কর্মী সজলের সঙ্গে বিয়ে হয় অতসীর। তাঁদের এক ছেলে রয়েছে। অতসীর মা নমিতা ঘোষের অভিযোগ, বিয়েতে পণ দিলেও নানা অজুহাতে টাকা চেয়ে মেয়ের উপর শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচার চলত। শুক্রবার এ নিয়ে গণ্ডগোলের জেরেই অতসীকে খুন করা হয় বলে তিনি পুলিশকে জানান। এ দিকে, অতসীর শ্বশুরবাড়ি থেকে পুলিশ জেনেছে, ওই রাতে অতসীর ঝুলন্ত দেহ দেখে তাঁর শাশুড়ি সজলকে দোকানে খবর দেন। হাসপাতালে অতসীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। খবর যায় পুলিশে। তবে এটি খুনের ঘটনা না কি আত্মহত্যা, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে দেহটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। সব খতিয়ে দেখেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ দিকে, শনিবার দক্ষিণ শহরতলির বিদ্যাসাগর কলোনি থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃত প্রসেনজিৎ রায় (৪১) পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। পুলিশ জেনেছে, তিনি কিছু দিন ধরে কর্মক্ষেত্রে সমস্যার কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। এ দিন তাঁর স্ত্রী-ই প্রথম ঘরে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেহটি দেখেন। হাসপাতালে ওই যুবককে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যা। এ দিনই হাওড়ার ডিএম বাংলো মোড়ের কাছে রাস্তার পাশে একটি দেওয়ালের লোহার হুক থেকে উদ্ধার হয় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির দেহ। পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তির পরনে ছিল সবুজ টি-শার্ট ও লুঙ্গি। দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন না। পুলিশের অনুমান, এটিও আত্মহত্যা।