কলকাতা পুলিশের কর্মী পরিচয় দিয়ে এক মহিলাকে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক ব্যক্তি। রবিবার, ওয়াটগঞ্জ থেকে। ধৃতের নাম রাজু। তবে টাকা উদ্ধার করা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, রুমা ঘোষ ওরফে শাবানা বেগম নামে গড়িয়া মেন রোডের বাসিন্দা এক মহিলার বাড়িতে বছরখানেক আগে কয়েক জন দেখা করতে আসেন। তাঁরা নিজেদের কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের কর্মী বলে পরিচয় দেন। তাঁদের সঙ্গেই আসেন ওই মহিলার পূর্ব-পরিচিত রাজুও। তাঁরা ওই মহিলাকে জানান, স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সে মহিলার নামে অভিযোগ রয়েছে। রেহাই পেতে গেলে তাঁকে কিছু টাকা খরচ করতে হবে। সে কথা বিশ্বাস করে সামাজিক অসম্মানের ভয়ে মহিলা কিস্তিতে প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকাও দেন। কিন্তু বহু দিন ধরে টাকা দিয়েও বিষয়টির সমাধান না হওয়ায় সন্দেহ হয় তাঁর। কলকাতা পুলিশের এসটিএফে খোঁজ করতেই জানতে পারেন, তাঁর নামে কোনও অভিযোগ কোনও দিনই ছিল না।
এর পরেই রবিবার ওয়াটগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। রবিবার রাজুকে ধরে পুলিশ। বাকিদের সন্ধান চলছে।
বস্তুত, কলকাতা পুলিশের কর্মী পরিচয়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ নতুন কোনও ঘটনা নয়। কলকাতা পুলিশের নকল কার্ড দেখিয়ে বা নকল উর্দি ও ব্যাচ পরে প্রতারণার অভিযোগও বহু বার উঠেছে। সিআইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ১৬ ফেব্রুয়ারি কৌশিক চক্রবর্তী ও শম্ভু কর্মকার নামে দু’জনকে আলিপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ, সার্ভে পার্ক এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণা পাইন নামে এক মহিলাকে কম দামে ভাল ফ্ল্যাট এবং তাঁর সন্তানদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা ও সোনার গয়না নিয়েছিল কৌশিক।
লালবাজারের এক কর্তা বলেন, “কোনও ব্যক্তি নিজের যে পরিচয়ই দিন না কেন, সব সময়েই তা যাচাই করা উচিত। তার আগে কোনও ভাবেই আর্থিক লেনদেনে জড়িয়ে পড়া উচিত নয়।”