শেষ বৈঠকে রাজ্য দাবি করেছিল, সব পক্ষ সহমত হয়েছে। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টেও তা জানান রাজ্যের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল লক্ষ্মী গুপ্ত। কিন্তু নতুন নকশার অনুমতি নেই। সেই নকশা রূপায়ণের জন্য বাড়তি টাকা কে দেবে, তা-ও জানা নেই। তাই ঝুলেই রইল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর মামলা। তবে বিচারপতি সৌমিত্র পাল রেলের আইনজীবীকে আগামী বৃহস্পতিবার সব কিছু জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ২৮ জানুয়ারি হাইকোর্টের নির্দেশেই সব পক্ষ এই সমস্যা সমাধানে বৈঠকে বসেছিল। কিন্তু শুক্রবার রেলের ঠিকাদার সংস্থার আইনজীবী রঞ্জন বাচোয়াত আদালতে জানান, ওই বৈঠকে রেল বোর্ডের কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না। ফলে নতুন নকশা অনুযায়ী কাজ করার লিখিত অনুমতি নেই। রেল বোর্ড বা ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষ, কেউই সেই অনুমতির কাগজ দেয়নি। নতুন নকশায় কাজ করার জন্য বাড়তি টাকা কে মেটাবে, তা-ও জানা প্রয়োজন। রেলকে তা লিখিত ভাবে জানাতে হবে বলেও জানান রঞ্জনবাবু।
এর পরে বিচারপতি রেলের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, রেল এ বিষয়গুলি কবে জানাবে? আইনজীবী বলেন, ২৮ তারিখের বৈঠকের সিদ্ধান্ত রেল বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। এর পরেই বিচারপতি বৃহস্পতিবারের মধ্যে তাদের বক্তব্য জানাতে রেলকে নির্দেশ দেন।
ঠিকাদার সংস্থা প্রস্তাব দিয়েছিল, মাটি কাটার মেশিনটি উঠতে পারে তিনটি জায়গা থেকে স্ট্র্যান্ড রোড, ব্রেবোর্ন রোড এবং লালদিঘি। ২৮ তারিখের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, হাওড়ার দিক থেকে গঙ্গার তলা দিয়ে সুড়ঙ্গ করে মাটি কেটে মেশিনটি লালদিঘির বাসস্ট্যান্ডের কাছে উঠবে। কিন্তু এই রুট বদল হলে খরচ বাড়বে। বাড়তি টাকা রেল যেন বাজেটে বরাদ্দ করে, এমনই নির্দেশ চেয়েছিলেন ঠিকাদার সংস্থার আইনজীবী। কিন্তু বিচারপতি জানান, এই ধরনের কোনও নির্দেশ তিনি দিতে পারেন না।