একটি শ্লীলতাহানির ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে স্রেফ অসন্তোষ প্রকাশই নয়, তদন্তকারী অফিসারকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দিল আদালত।
বুধবার ঘটনাটি ঘটে সল্টলেক এসিজেএম আদালতে। অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক অপূর্বকুমার ঘোষ একটি শ্লীলতাহানির মামলায় তদন্তকারী অফিসারকে সরানো ও নতুন কাউকে তদন্তভার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্য পুলিশের ডিজি, সল্টলেকের পুলিশ কমিশনার ও সংশ্লিষ্ট থানার আইসি-র কাছেও ওই নির্দেশের প্রতিলিপি পাঠানো হচ্ছে।
ফেব্রুয়ারি মাসে সল্টলেক দক্ষিণ থানায় একটি শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ, জানুয়ারি মাসে পাঁচ নম্বর সেক্টরের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার এক উচ্চ-কর্তার বাড়িতে ঢুকে তাঁদেরই পরিচিত এক যুবক তাঁর স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করে। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবক গ্রেফতার হয়। তার জেল হেফাজত হয়েছিল। যদিও অভিযুক্ত যুবকের পরিবারের তরফেও পাল্টা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।
অভিযোগকারিণীর আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় ও সৌম্যজিৎ রাহা জানান, তদন্ত শুরু হওয়ার পরে অভিযোগকারিণী আদালতের কাছে তাঁর বয়ানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, সল্টলেক দক্ষিণ থানা প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি। দীর্ঘ দিন তাঁকে ঘোরানো হয়। পরে অভিযোগ নেওয়া হলেও তদন্তকারীরা মহিলা পুলিশকর্মী ছাড়াই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন।
এমনকী তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
অভিযোগকারিণীর আইনজীবীরা জানান, এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সল্টলেক আদালত তদন্তকারীদের তিরস্কার এবং শো-কজ করেছিল। তদন্তকারী অফিসারকে হাজিরা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিল। বুধবার ওই ঘটনার তদন্তকারী অফিসার, সল্টলেক দক্ষিণ থানার সাব-ইনস্পেক্টর সুজিতকুমার মাইতি ও সাব-ইনস্পেক্টর আবু তাহের রহমান আদালতে হাজির হন। বিচারক অপূর্বকুমার ঘোষ তাঁদের কাছে জানতে চান, তদন্ত কিছুটা এগিয়েছে কি না। সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনও তথ্য দিতে পারেননি তদন্তকারীরা। এর পরে বিচারক তাঁর সিদ্ধান্ত জানান।
আদালতের বাইরে অভিযোগকারিণীর আইনজীবী জানান, তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে তদন্তকারী অফিসার সুজিতবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সন্তোষজনক জবাব মেলেনি। ওই মামলার তদন্ত থেকে তদন্তকারী অফিসারকে সরিয়ে দেওয়া এবং তাঁর বদলে নতুন কোনও অফিসারকে নিয়োগ করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।