জুতোর গুদামে আগুন, আতঙ্ক তিলজলায়।
ভস্মীভূত হয়ে গেল একটি জুতোর গুদাম। শনিবার বিকেলে, তিলজলা থানা এলাকার ৪১ নম্বর জি জে খান রোডে। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নেভায়। তবে এলাকাটি ঘিঞ্জি হওয়ায় সেখানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ দিকে, শুক্রবার গড়িয়াহাটের ৫১/১ হিন্দুস্থান পার্কের বাড়িতে রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন লাগার ঘটনায় আহত সাফাইকর্মী জগদীশ দাসের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। তিনি এসএসকেএম হাসপাতালের বার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে জগদীশকে কার্জন ওয়ার্ড থেকে সরিয়ে বার্ন ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর মুখ এবং শরীরের অধিকাংশই পুড়ে গিয়েছে। আগুনের তাপে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে চোখও। অপর উদ্ধারকারী, এক প্রোডাকশন ইউনিটের সদস্য রঞ্জিত দাস এবং ওই বাড়ির প্রবীণ সদস্য নিতাই দাসকে শুক্রবারই এসএসকেএম থেকে বেসরকারি হাসপাতলে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। তাঁদের দু’জনেরই অবস্থা স্থিতিশীল বলে ওই বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে নিতাইবাবুর বয়স বেশি হওয়ায় চিকিৎসকেরা এখনই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ছেন না।
শনিবার জি জে খান রোডের ঘটনায় দমকল সূত্রে খবর, একটি পাঁচ তলা বাড়ির এক তলায় ছিল ওই জুতোর গুদামটি। বাকি তলগুলিতে লোকজন থাকেন। দমকল জানিয়েছে, এ দিন স্থানীয়েরাই প্রথম বন্ধ গুদাম থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গেই উপরের তলগুলি থেকে লোকজন নীচে নেমে আসেন। ধোঁয়ায় ভরে যাওয়ায় সেখানে কাজ করতে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় বলে জানিয়েছে দমকল। তবে গুদামে তেমন দাহ্য পদার্থ না থাকায় আগুন সে ভাবে ছড়াতে পারেনি। দমকলের অনুমান, শর্ট সার্কিটের জেরেই আগুন।
এ দিনই ধূপকাঠি থেকে আগুন লাগে লেক থানা এলাকার পঞ্চাননতলা বস্তির একটি বাড়িতে। পুলিশ জানিয়েছে, একটি মাটির বাড়িতে জ্বালানো ধূপকাঠি থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।