লন্ডভন্ড ঘর। —নিজস্ব চিত্র।
বাইরে থেকে সদর দরজায় তালা দেওয়া। কোথাও এতটুকু আঁচড় নেই। অথচ দরজা খুলে গৃহকর্ত্রী দেখলেন আলমারি ভাঙা। ঘরের আসবাবও ছত্রাকার। বাড়ির পিছনে দোতলার বারন্দার গ্রিল কেটে রুপোর বাসন-সহ চুরি হয়েছে বেশ কিছু সোনার গয়নাও। মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ কলকাতার প্রিন্স আনোয়ার শাহ কানেক্টরের কাছে কালিকাপুরে ঘটনাটি ঘটেছে।
এই ধরনের ঘটনা শহরের নিরাপত্তার প্রশ্নকে আরও এক বার উস্কে দিল। পুলিশ জানিয়েছে, চুরির অভিযোগ পেয়েছি। তবে এই ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পরিচিত কোনও ব্যক্তিই এই চুরির সঙ্গে যুক্ত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল থেকেই বাড়িটি তালাবন্ধ ছিল। বুধবার দুপুরে ফিরে মূল গেটের তালা খুলে গৃহকর্ত্রী দেখেন, বাড়ির সব ঘরের দরজা খোলা। শোয়ার ঘরে ঢুকে দেখেন আলমারি ভাঙা। সোনার গয়না-সহ বেশ কিছু মূল্যবান রুপোর বাসন চুরি হয়ে গিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, কালিকাপুরের ইস্টএন্ড পার্কের এই বাড়িটি দোতলা। দোতলায় থাকেন বাড়ির মালিক। নীচে ভাড়া থাকেন এক দম্পতি। নাম দীপেন্দু দেবনাথ এবং চন্দ্রিমা দেবনাথ। চন্দ্রিমাদেবী এ দিন জানান, গত কয়েক দিন ধরেই বাড়ির দোতলায় কেউ ছিলেন না। তাঁর স্বামী দীপেন্দুবাবুও কাজের সূত্রে বাইরে রয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি তালাবন্ধ করে ছেলে-মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন চন্দ্রিমাদেবী।
তিনি বলেন, “দোতলায় বাড়ির পিছনের দিকের বারান্দার গ্রিল কেটে দোতলার দরজা ভেঙে চোর নীচে নেমেছিল। তার পরেই আলমারির লকার ভেঙে জিনিসপত্র চুরি করে। লকারে কিছু রুপোর বাসন রাখা ছিল। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানের জন্য সোনার গয়না ঘরের অন্য একটি জায়গায় সরিয়ে রেখেছিলাম। সবই চুরি করে নিয়ে গিয়েছে।” এলাকারই বাসিন্দা বিমল হালদারের অভিযোগ, কয়েক মাস আগেও এই এলাকায় গ্রিল ভেঙে একটি চুরির ঘটনা ঘটেছিল।
গরফা থানা এলাকায় চুরি রুখতে নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ?
পুলিশ জানায়, ওই অঞ্চলে দুপুরে এবং রাতে পুলিশ টহল দেয়। কিন্তু এক বার টহল দিয়ে ঘুরে আসার ফাঁকে যে সময় থাকে, তার মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। চুরির উপদ্রব এ ভাবে বাড়লে পরিকাঠামো আরও বাড়ানো দরকার বলে মত পুলিশেরও। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানান, নিরাপত্তার ব্যবস্থায় ফাঁক থেকে গিয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হবে।