কেঁচো খুড়তে গিয়ে আস্তিনে রাখা কেউটের খোঁজ পেল পুলিশ!
শরৎ বসু রোডে পুলিশের নাম করে তোলাবাজির অভিযোগ পেয়ে গত শুক্রবার তদন্তে নেমেছিল ভবানীপুর থানা। কে তোলা চেয়ে হুমকি দিল সে খোঁজ করতে গিয়ে উঠে এল ভবানীপুর থানারই এক হোমগার্ডের নাম। পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতেই খিদিরপুর থেকে বিকাশ চৌধুরী নামে ওই হোমগার্ড ও তার তিন সঙ্গীকে পাকড়াও করা হয়। বিকাশের কাছে মিলেছে একটি দেশি পিস্তল। চার অভিযুক্তই আপাতত জেল হাজতে।
ঘটনাচক্রে শুক্রবার রাতে হরিদেবপুর থানা এলাকায় একটি পারিবারিক বিবাদ সামলাতে যান ওই থানার হোমগার্ড রাজু গোয়ালা। সেখানে রাজুর সার্ভিস রিভলভার ছিনিয়ে গুলি করা হয় তাঁকে। মারা যান তিনি। তার পরে হোমগার্ডদের হাতে অস্ত্র দেওয়া নিয়ে নতুন কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে লালবাজার। একই দিনে বাহিনীর আর এক জনের এমন কীর্তির কথায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন কলকাতা পুলিশের শীর্ষকর্তারা।
কী হয়েছিল ভবানীপুরে? পুলিশ জানায়, শরৎ বসু রোডে একটি টেলিকম সংস্থার ৪জি প্রযুক্তির কেব্ল বসানোর কাজ করছিল একটি ঠিকাদার সংস্থা। অভিযোগ, শুক্রবার সকালে চার যুবক একটি গাড়িতে সেখানে এসে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তোলা চায়। তার মধ্যে এক জন নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে বলে, টাকা না দিলে বড় ঝামেলায় ফাঁসনো হবে। ওই সংস্থার কর্মীদের মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগকারীরা জানান, পুলিশ পরিচয় দিলেও রাস্তায় মোটরবাইকে টহলদার এক পুলিশকর্মীকে দেখে তোলাবাজেরা গা ঢাকা দেয়। এর পরেই তদন্তকারীরা খোঁজ নেন, সকালে ওই এলাকায় বাইকে কে টহল দিচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলেই জানতে পারেন, তিনি বিকাশকে ওই এলাকায় দেখেছিলেন। বিকাশ তাঁকে দেখে গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করছিল, তাও জানান। পরে জানা যায়, বিকাশ সে দিন কাজে আসেননি।
পুলিশ জানায়, ওই রাতে বিকাশের বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে ধরা হয়। ধরা হয় তার তিন শাগরেদকেও। বিকাশের কাছে একটি দেশি পিস্তলও মিলেছে। জেরায় বিকাশ দোষ স্বীকার করেছে বলে পুলিশের দাবি। সে আর কোনও তোলাবাজিতে জড়িত কি না, দেখা হচ্ছে। বিকাশ কোথা থেকে অস্ত্র জোগাড় করেছিল, তা নিয়েও তদন্ত হচ্ছে।