বরাহনগর পুরসভার কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে প্রবেশপথে চারটি বায়োমেট্রিক যন্ত্র বসানো হয়েছিল আড়াই বছর আগে। চার মাস পরেই সেগুলি খুলে নেওয়া হয়। সেই থেকে গুদামবন্দি হয়ে।
পুরসভা সূত্রের খবর, প্রায় ১২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে যন্ত্রগুলি বসানো হয়েছিল। কাজও শুরু করেছিল। ফলে কর্মসংস্কৃতির হালও ফিরছিল। বরাহনগর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অঞ্জন পাল বলেন, “মাতৃসদন উন্নয়ন পরিকল্পনায় পরিবর্তন হওয়ায় ঘরটি ভাঙা হয়েছিল তবে ওই চারটি যন্ত্র ফের বসানোই যেত। এত দিন ফেলে রাখা উচিত হয়নি।”
যদিও পুরসভার ভিতরে শোনা যাচ্ছে অন্য কথা। পুরসভার এক কর্মীর অভিযোগ, এটা বসানোয় পুরকর্মীদের একাংশের বিরাগভাজন হয় প্রশাসন। পরোক্ষে তাঁদেরই চাপের কাছে নতি স্বীকার করেছে পুরসভা। উপস্থিতির নিয়ম অনেক বছর ধরেই ছিল খাতায় কলমে। নিয়ম অনুযায়ী, পুরসভার কোনও কর্মী সকাল ১০.৩০-১১ টার মধ্যে ঢুকলে তাঁকে ‘লেট’ বলে গণ্য করা হয়। তবু খাতায় কারচুপি করে যখন খুশি ঢুকতেন-বেরতেন কর্মীদের একাংশ। যন্ত্র বসানোয় এঁদের মধ্যেই ক্ষোভ তৈরি হয়। এই চাপের কাছেই পুরসভার গড়িমসি বলে অভিযোগ।
যদিও পুরপ্রধান অপর্ণা মৌলিক বলেন, “পাশেই রয়েছে পুরসভার মাতৃসদন। তখন সেটিকে হাসপাতালে পরিবর্তনের কাজ চলছিল। তাই ভাঙা হয়েছিল ঘরটি। তখন থেকেই গুদামে পড়ে রয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি সেগুলো আবার লাগানোর ব্যবস্থা করছি।”