ইংরেজি শিক্ষায় মার্কিন ছোঁয়া শহরে

তিনি পেশাদার শিক্ষিকা নন। ভবিষ্যতেও হবেন কি না, নিশ্চিত নয়। তবুও তাঁকে হাতের কাছে পেয়েই মেয়ের গৃহশিক্ষিকা হওয়ার প্রস্তাব দেন এক অভিভাবক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৪ ০২:৩৮
Share:

তিনি পেশাদার শিক্ষিকা নন। ভবিষ্যতেও হবেন কি না, নিশ্চিত নয়। তবুও তাঁকে হাতের কাছে পেয়েই মেয়ের গৃহশিক্ষিকা হওয়ার প্রস্তাব দেন এক অভিভাবক। মার্কিন সেই তরুণী ইংরেজি শেখাতে এসেছেন কলকাতার সেন্ট জন্স ডায়োসেশন গার্লস হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে। এমন সুযোগ ছাড়া যায়?

Advertisement

দ্য ফুলব্রাইট-নেহরু ইংলিশ টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ প্রোগ্রামে গত বছরের জুন মাস থেকে কলকাতায় রয়েছেন মার্কিন চার তরুণী এবং এক তরুণ আদিজা আফুয়া এগান, ক্রিস্টিন জোগ্রাফিয়া পার্ডি, র্যাচেল মারি গ্লোগোস্কি, রায়ান র্যাচেল কোরিগান এবং স্টেসিয়া মাইকেল কোস্টার। এগান বালিগঞ্জ শিক্ষা সদনে, পার্ডি ডায়োসেশনে, মারি দোলনা ডে স্কুলে, রায়ান সেন্ট জোসেফ অ্যান্ড মেরিজ স্কুলে, কোস্টার অভিনব ভারতী স্কুলে পড়িয়েছেন অগস্ট থেকে। প্রত্যেকেই সদ্য স্নাতক। এই ক’মাসের অভিজ্ঞতায় প্রত্যেকেরই বক্তব্য, এই শহরে শিক্ষক-শিক্ষিকারা শ্রদ্ধার আসনে রয়েছেন। পড়ুয়ারাও খুব ভাল। ইংরেজি পঠনপাঠন বা পাঠ্যক্রমের মান যথেষ্ট উঁচু।

এগান চমৎকৃত স্কুলে ক্লাসে ঢুকেই ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে সমস্বরে ‘গুড মর্নিং ম্যাম’ অভিবাদন পেয়ে। তবে স্কুলের ক্লাসরুমের মাপ ছোট বলে মনে হয়েছে তাঁর। লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে ক্লাসে কিঞ্চিৎ প্রচার করেছেন তিনি।

Advertisement

শহরের ওই পাঁচ স্কুলের শিক্ষিকাদের বক্তব্য, মার্কিন তরুণ-তরুণীরা ভারতীয় স্কুলে শিক্ষকতা করার পদ্ধতি আগে জানতেন না। কিন্তু হাতেকলমে কাজ করতে এসে খুব অল্প সময়েই তাঁরা সব শিখে নিজেদের মৌলিক চিন্তাভাবনা মিলিয়ে ক্লাসরুমকে পড়ুয়াদের কাছে অত্যন্ত উপভোগ্য করে তুলেছেন। পাশাপাশি, কলকাতার সঙ্গে তাঁদের সাংস্কৃতিক বিনিময়ও হয়েছে। শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন তাঁরা। এখানকার পড়ুয়াদের শিখিয়েছেন ‘হ্যালোউইন’ অনুষ্ঠান।

আর একটি বিষয়ে পাঁচ জন মার্কিনেরই অদ্ভুত মিল। প্রত্যেকেই জানেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর নাম। জিজ্ঞাসা করতেই সমস্বরে জবাব তাঁদের, “মমতা ব্যানার্জি”। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কি দেখা করতে চান? পার্ডির সহাস্য জবাব, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ? দারুণ সুযোগ! আপনি ব্যবস্থা করে দেবেন?”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement