নষ্ট হয়ে গিয়েছে সরঞ্জাম। ছবি: দেবাশিস রায়।
ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে ফের শুরু হচ্ছে সরকারি উদ্যোগে প্রশিক্ষণ শিবির। আট বছর বন্ধ থাকার পরে ক্রীড়া দফতরের উদ্যোগে ছোটদের নিয়ে এই শিবির শুরু হলে অনেকেই লাভবান হবে মনে করছে রাজ্যের ক্রীড়া মহল।
১৯৭৫-এ ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়। রাজ্যের ক্রীড়া দফতর সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে জুলাইয়ের প্রথম থেকে ১৪ বছরের নীচের ছোটদের জন্য ৬০ দিনের এই শিবির শুরু হচ্ছে। ন্যূনতম ব্যয়ে চলবে প্রশিক্ষণ। শিক্ষার্থীদের সাড়া মিললে বাড়ানো হবে প্রশিক্ষণের সময়সীমা। ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে খেলার যাবতীয় সরঞ্জাম দেওয়া হবে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রকে। এর জন্য টেবল টেনিস, জিমন্যাস্টিক্স, ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবলের যাবতীয় সরঞ্জামের তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে। ছোটদের মধ্যে খেলার উৎসাহ বাড়াতে রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ।”
ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রের দক্ষিণ প্রান্ত নির্ধারিত টেবল টেনিসের জন্য। উত্তর প্রান্ত নির্দিষ্ট জিমন্যাস্টিক্সের জন্য। মাঝের অংশে এক দিন অন্তর পালা করে বাস্কেটবল অথবা ব্যাডমিন্টন খেলা হত। সরকারি উদ্যোগে সারা বছর ধরে প্রশিক্ষণ শিবির চলত। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে টুর্নামেন্ট হত।
অভিযোগ, প্রায় আট বছর ধরে বন্ধ রয়েছে প্রশিক্ষণ।
ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রের কর্মীদের দাবি, বছরে দুু’-তিনটি টেবল টেনিসের টুর্নামেন্ট হয়। বন্ধ রয়েছে জিমন্যাস্টিক্স, ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবল।
এক সময়ে অনুশীলনে আসা খেলোয়াড় এবং প্রশিক্ষকদের অভিযোগ, কেন্দ্রটিকে নানা অনুষ্ঠানে ভাড়া দেওয়া থেকেই অবক্ষয়ের শুরু। খেলার সঙ্গে যুক্ত নয় এমন সংগঠনগুলি ক্রীড়া সরঞ্জাম অপব্যবহার করে নষ্ট করেছে। ক্রীড়ামন্ত্রী জানান, ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে ক্রীড়া সংগঠনগুলিকে ভাড়া দিতে জোড় দেওয়া হয়। রক্ষণাবেক্ষণ-সহ বিভিন্ন খরচ চালাতে বাধ্য হয়ে অন্য সংগঠনকে ভাড়া দিতে হয়। সরঞ্জামগুলি ব্যবহার না হয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। নজর রাখা হবে তা যেন আর না হয়।