বহুতল থেকে পড়ে মৃত কিশোরী

পুলিশ জানায়, সেনা হাসপাতাল চত্বরেরই কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণিতে পড়ত কুমকুম। তার বাড়ি এন্টালি এলাকায়। কুমকুমের বাবা সুভাষচন্দ্র পাণ্ডে অসম রাইফেলসের কর্মী। প্রতিদিনের মতো এ দিন সকালেও মেয়েকে তিনি স্কুলে পৌঁছে দিয়ে যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:২৪
Share:

—প্রতীকী ছবি।

আলিপুর সেনা হাসপাতাল চত্বর থেকে বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার হল এক কিশোরীর দেহ। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম কুমকুম পাণ্ডে (১৬)। পুলিশের দাবি, তাঁর দেহের পাশ থেকে মিলেছে একটি সুইসাইড নোট। যেখানে লেখা রয়েছে, ‘পরীক্ষায় পাশ করতে পারব না, আমায় ক্ষমা করো!’। ওই কিশোরীকে সেনা হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

Advertisement

পুলিশ জানায়, সেনা হাসপাতাল চত্বরেরই কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণিতে পড়ত কুমকুম। তার বাড়ি এন্টালি এলাকায়। কুমকুমের বাবা সুভাষচন্দ্র পাণ্ডে অসম রাইফেলসের কর্মী। প্রতিদিনের মতো এ দিন সকালেও মেয়েকে তিনি স্কুলে পৌঁছে দিয়ে যান। স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, সকাল সাড়ে ৮টার পরে কুমকুমকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। এর পরেই স্কুলের পাশের একটি বহুতলের নীচে ওই ছাত্রীকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়েরা।

এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, কুমকুমের দেহটি যে ১১৩ নম্বর বিল্ডিংয়ের নীচে পড়েছিল, সেই জায়গাটি পুলিশ ঘিরে দিয়েছে। ওই বিল্ডিংয়ে সংস্কারের কাজ চলছে। ফলে কোনও পরিবার সেখানে থাকে না। পুলিশের অনুমান, কুমকুম সেটা জানত। তাই ওই ফাঁকা বিল্ডিংয়ের বারোতলা থেকেই ঝাঁপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সে। সুভাষবাবু বলেন, ‘‘কেন এমন করল জানি না। পড়ার জন্য চাপ দেওয়া হত না ওকে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement