প্রতীকী ছবি।
মেট্রো স্টেশনে এক তরুণীর ছবি তুলতে গিয়ে পাকড়াও এক যুবক। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনের পাঁচ নম্বর গেট (হিন্দ সিনেমার কাছে) দিয়ে মেট্রো স্টেশনে ঢোকেন কয়েকজন তরুণ তরুণী। ওই দলেরই এক তরুণী হঠাৎ লক্ষ্য করেন, পিছনে থাকা এক যুবক মোবাইলে ছবি তুলছে। পুলিশকে পরে ওই তরুণী জানিয়েছেন, প্রথমে তিনি বুঝতে পারেননি। কিন্তু বার বার ওই যুবক তাঁদের কাছাকাছি এসে মোবাইল বার করছিল। সেটা দেখেই তাঁদের সন্দেহ হয়। যাদবপুরের বাসিন্দা এক তরুণী তখন ওই যুবককে বাধা দেন এবং তার মোবাইল দেখতে চান। ওই তরুণী মূলত জলপাইগুড়ির বাসিন্দা। এখানে যাদবপুরে দিদির বাড়ি থেকে পড়াশোনা করেন। রবিবার ওই তরুণীর দিদি বলেন,‘‘ হায়দরাবাদের ঘটনার পরই খুব ভয় পেয়েছিলাম। বোনকে বলেছিলাম ব্যাগে আত্মরক্ষার জন্য একটা ছোট ছুরি রাখতে। আর সে দিন সন্ধ্যাতেই ওই ঘটনা ঘটল।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক প্রথমে অস্বীকার করেন মোবাইলে ছবি তোলার কথা। স্টেশন থেকে বাইরে বেরিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করে। তাতে ওই তরুণীর আরও সন্দেহ হয়। তিনি চিৎকার করতে করতে ওই যুবককে ধাওয়া করেন স্টেশনের বাইরে পর্যন্ত। অন্য যাত্রীরা তখন ওই যুবককে বাধা দেন। তার মধ্যেই চিৎকার চেঁচামেচি এবং ভিড় দেখে ঘটনাস্থলে যান বউবাজার থানার টহলরত স্পেশ্যাল কনস্টেবলরা। তাঁরা ওই যুবককে আটক করে তার মোবাইল পরীক্ষা করে ওই তরুণীর কয়েকটি ছবি পান।
এর পরেই ওই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। জেরায় সে জানায় তার নাম বিল্বমঙ্গল সারদা। বছর ২৫-এর ওই যুবকের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাটে। কলকাতায় রং মিস্ত্রির কাজ করে সে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ধৃতকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ডি ধারায় গ্রেফতার করা হয়। তিনি বলেন, ‘‘থানার বিট টহলদারিতে থাকা স্পেশ্যাল কনস্টেবল ঠিক সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তিনিই আটক করেন অভিযুক্তকে।’’
আরও পড়ুন: গণধর্ষণ এ বার কোয়ম্বত্তূরে, পার্কে বন্ধুকে বেঁধে রেখে সামনেই অত্যাচার, অভিযুক্ত ৬
আরও পড়ুন: তেলঙ্গানায় চিকিত্সককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সাসপেন্ড তিন পুলিশকর্মী
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অপরাধ কমাতে একদিকে যেমন উইনার্সের মতো মহিলা পুলিশ কর্মীদের বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে, তেমনি প্রতিটি থানা এবং ট্রাফিক গার্ডকেও সতর্ক করা হয়েছে। নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে।
হায়দরাবাদে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পরেই ফের বাহিনীকে সতর্ক করেছেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার অনুজ শর্মা। তিনি শনিবারই নিজের ফেসবুক পেজেও জানিয়েছেন, কোনও মহিলা যদি কোনও ভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন তাহলে যেন তাঁরা পুলিশের সহায়াতা চান। নগরপাল চারটি হেল্পলাইন নম্বর ১০০, ১০৯০, ১০৯১ এবং ১১২ প্রকাশ করে প্রয়োজনে ওই নম্বরগুলিতে ফোন করার পরামর্শ দিয়েছেন।